প্রতিবাদের ‘শাস্তি’! স্বামীর সামনেই মহিলাকে পিষে দিল মালবাহী গাড়ি

একটি পিকআপ ভ্যানকে (pick-up van) ডেকে আনেন। বচসা থামার পরে সেই পিকআপ ভ্যান হঠাৎ গতি বাড়িয়ে ওষুধ ব্যবসায়ীর স্ত্রী তন্দ্রা বিশ্বাসকে পিষে দেয়

0
1
প্রতীকী ছবি

স্বামীর সামনেই মহিলাকে হেনস্থা। প্রতিবাদ করায় বধূর উপর দিয়ে মালবাহী গাড়ি চালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘন অন্ধকারে গাড়ির হেডলাইট বন্ধ রেখে দ্রুত গতিতে ধাক্কা মারা হয়। তাতেই মৃত্যু হয় ওই মহিলার। জখম হয়েছেন আরও দু’জন। তাঁরাও প্রতিবাদে শামিল হয়েছিলেন। তাঁদের একজনের অবস্থা অশঙ্কাজনক বলে সূত্রের খবর। রবিবার রাতে এমন হাড়হিম করা ঘটনার সাক্ষী থাকল রানাঘাট-কৃষ্ণনগর (Ranaghat-Krishnanagar) রাজ্য সড়ক।

পুলিশ সূত্রে খবর, সুজন বিশ্বাস নামে এক স্থানীয় ওষুধ ব্যবসায়ী প্রতিদিনের মতোই দোকান বন্ধ করে স্ত্রীকে নিয়ে বাইক চালিয়ে রাজ্য সড়ক ধরে তাহেরপুর (Taherpur) যাচ্ছিলেন। সেসময় কুয়াশার কারণে তাঁর চশমার কাচ ঘোলা হয়ে যায়। খামার শিমুলিয়া এলাকায় স্বামীর বাইকে বসেই চশমা পরিষ্কার করছিলেন। আচমকা চশমা হাত ফসকে মাটিতে পড়ে যায়। এরপর রাস্তায় বাইক দাঁড় করানো নিয়ে ওই ওষুধের দোকানদারের সঙ্গে এক ইঞ্জিন ভ্যানচালকের বচসা হয়। ২ পক্ষই আরও কয়েকজনকে ফোন করে ডেকে আনে বলে অভিযোগ। পরে অবশ্য ঝামেলা মিটেও যায়। অভিযোগ, ইঞ্জিন ভ্যানের চালক ফোন করে একটি পিকআপ ভ্যানকে (pick-up van) ডেকে আনেন। বচসা থামার পরে সেই পিকআপ ভ্যান হঠাৎ গতি বাড়িয়ে ওষুধ ব্যবসায়ীর স্ত্রী তন্দ্রা বিশ্বাসকে পিষে দেয়।

ওই মহিলা-সহ তিন জন গাড়ির তলায় পিষ্ট (Crushed) হন। স্থানীয়েরা তাঁদের উদ্ধার করে তড়িঘড়ি হাসপাতালে গেলে চিকিৎসকেরা তন্দ্রাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। একজন এখনও সঙ্কটজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ বিষয়ে সুজন বিশ্বাসের অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবে তাঁর স্ত্রীকে খুন করা হয়েছে। তাহেরপুর থানায় (Taherpur Police Station) গাড়িচালকের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু হয়েছে। গাড়িচালককে (Car-Driver) গ্রেফতার করার পাশাপাশি, এটি নিছক দুর্ঘটনা নাকি আরও কোনও রহস্য রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।