Tuesday, November 4, 2025

বাংলার সরকারি হাসপাতালের পরিকাঠামো নিয়ে মিথ্যাচার! আইনজীবীর বক্তব্যকে তীব্র কটাক্ষ মুখ্যমন্ত্রীর

Date:

Share post:

স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে মিথ্যা বলে দেশের সামনে বাংলাকে ছোট করা হয়েছে এতে রাজ্যের মুখ পড়ল। সোমবার নবান্ন সভাঘরে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠকে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে আরজিকর মামলার শুনানিতে জুনিয়র ডাক্তারদের পক্ষের আইনজীবীর বক্তব্য তুলে ধরে তীব্র কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী।

সেদিন শুনানিতে শীর্ষ আদালতে জুনিয়র ডাক্তারদের আইনজীবী ইন্দিরা জয় সিং অভিযোগ করেন, পশ্চিমবঙ্গের সরকারি হাসপাতালে নাকি তুলোও পাওয়া যায় না। দেশের সামনে বাংলার স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রশ্নের মুখে দাঁড়ায়। এদিনের বৈঠকে সেই প্রসঙ্গ তুলে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, কোর্টে ওই মহিলা আইনজীবী দাবি করেছেন, রাজ্যের হাসাপাতালে তুলোও পাওয়া যায় না। এর পরেই তিনি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষদের প্রশ্ন করেন, ‘‘এটা কি ঠিক?” অধ্যক্ষরা একযোগে জানান এই অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন। এরপরেই ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই ধরনের কথা দেশের সামনে রাজ্যের মুখ পুড়ল। এরপরই তৃণমূল আমলে সরকারি হাসপাতালের মান উন্নয়নের দিকটা তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। জানান, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে কী কী উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ করা হয়েছে। তার মধ্যে হাসপাতালের ভবন উন্নয়ন, শিশু ও প্রসূতিদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা, অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সবকিছুর উল্লেখ করেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

অভিভাবক সুলভ আচরণে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আন্দোলন করেছো, ভালো করেছো। তোমাদের অধিকার আছে। আমি রোজ তোমাদের খবর নিই। আমি যখন অনশন করেছিলাম। সরকারের কেউ আসেনি। আমি রোজ তোমাদের খোঁজ নিয়েছি। আমার অনুরোধ সুস্বাস্থ্য পরিবেশ গড়ে তুলতে অনশন ও ধর্মঘট তুলে নাও। তোমরা কাজে যোগ দাও।” মমতার দাবি, আন্দোলন শুরু করলে। আন্দোলন শেষ করতে জানতে হয়।

মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “আগে কাজ করার পরিবেশ তৈরি করতে হবে। তোমরা যা বলছো, আমাকেও তো ক্রস চেক করতে হবে। কাজটা নরম্যালসি তো আগে করো।আমাদের সুপ্রিম কোর্টে যা কমিটমেন্ট আছে সেটা আমরা করব। আর কাজ একদিনে হয় না। এর জন্য অর্থ প্রয়োজন হয়।”

এর পাশাপাশি জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন এবং তার ঠিকানা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। জানতে চান, স্বাস্থ্য দফতরের অনুমতি ছাড়া হস্টেলের রুমকে কীভাবে নিজেদের সংগঠনের ঠিকানা হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন জুনিয়র ডাক্তাররা? এ বিষয়টি যে আইনানুগ নয়, সেটা স্পষ্ট করে দেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ।

আরও পড়ুন- মাদারিহাটের পদ্মপ্রার্থীর পিতৃপরিচয়ে অস্বস্তিতে বিজেপি! কিন্তু কেন?

 

spot_img

Related articles

গ্রুপ সি ও ডি নিয়োগে অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করল এসএসসি

রাজ্যের স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি পদে অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করল। কমিশনের প্রকাশিত...

তিন জেলায় চলবে নজরদারি! এসআইআর পরিদর্শনে আসছে কমিশনের বিশেষ দল

ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনী (এসআইআর) প্রক্রিয়া চলাকালীন রাজ্যে আসছে নির্বাচন কমিশনের বিশেষ পরিদর্শক দল। কমিশন সূত্রে জানা...

এসআইআর চলাকালীন এলাকায় থাকতে হবে মন্ত্রীদের, কড়া নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

রাজ্যজুড়ে মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনী প্রক্রিয়া (এসআইআর)। এই প্রক্রিয়ায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের...

বিশ্বকাপ জিতেই মোটা অঙ্কের আর্থিক পুরস্কার, আয়ে পলাশকে কতটা টেক্কা দিলেন স্মৃতি?

বিশ্বকাপ জিতেই বিয়ের পিঁড়িতে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্মৃতি মান্ধানা (Smriti Mandhana) । আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস...