আলিপুর মিউজিয়ামে ইতিহাস ছুঁতেই দৃষ্টিহীনদের জন্য চালু ব্রেইল বান্ধব : ফিরহাদ হাকিম

আলিপুর মিউজিয়ামে ব্রেইল বান্ধব উদ্বোধন করে এমনই মন্তব্য করলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।

0
3

ভারতের স্বাধীনতার ইতিহাসে আলিপুর কারাগারের নাম এক বাক্যে উচ্চারিত হয়। ব্রিটিশ শাসনকালে এই কারাগারেই বিভিন্ন সময়ে বন্দি করে রাখা হয়েছিল নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ, নজরুল ইসলাম, বিধানচন্দ্র রায়, জওহরলাল নেহেরু, যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্তের মতো স্বাধীনতা সংগ্রামী ও বিশিষ্ট রাজনৈতিক বন্দিদের। সেই সেলের সামনে দাঁড়িয়ে আজও স্মৃতির সরণিতে ফিরে যেতে হয়।বুধবার আলিপুর মিউজিয়ামে ব্রেইল বান্ধব উদ্বোধন করে এমনই মন্তব্য করলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।

কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামীরা আমাদের জন্য অনেক কিছু করেছেন। পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরু, সুভাষচন্দ্র বসু, এই বিল্ডিংটিতে বন্দি ছিলেন। ছিলেন আরও মুক্তিযোদ্ধারা। তাদের সম্পর্কে ভবিষ্যত প্রজন্ম জানুক। আমাদের ইতিহাস সম্পর্কে জানুক। সেই কারণে দৃষ্টিহীনদের সেই সুযোগ করে দিতে এই প্রচেষ্টা।

প্রসঙ্গত, এই জেলেই ফাঁসিতে মৃত্যুবরণ করেছিলেন বিপ্লবী দীনেশ মজুমদার, দীনেশ গুপ্তেরা। তবে যে সব ঘরে বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামীরা বন্দি ছিলেন, সেইসব ঘরগুলিকে আগেই হেরিটেজ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। মেয়র আরও বলেন, আলিপুর জেলে থাকার সময় নেতাজি সেইসময় নিজের হাতে চা বানিয়ে খাওয়াতেন তার গুরু চিত্তরঞ্জনকে। সেইসব স্মৃতি তুলে ধরা হয়েছে এই মিউজিয়ামে। কিন্তু কী জন্য তৈরি করা হয়েছিল বিখ্যাত এই কারাগার? সেই ইতিহাসও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পুরনো দিনের সেইসব বিষয় তুলে ধরার জন্য জেল মিউজিয়ামে প্রতিদিন রোজ দেখানো  হয় লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো। আন্দামান সেলুলার জেলেও এই ধরনের শো-র ব্যবস্থা রয়েছে। ওই শো শোনা যায় বাংলা, হিন্দি ও ইংরেজিতে। এছাড়াও জেলের প্রথম তলে তৈরি হয়েছে একটি ক্যাফে। এর কোনও কিছু থেকে যাতে দৃষ্টিহীনরা বঞ্চিত না হন, সেই জন্য এই নতুন উদ্যোগ।

হিডকোর ম্যানেজিং ডিরেক্টর সঞ্জয় বনশল বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছাতেই এই উদ্যোগ। রাজ্য সরকার দৃষ্টিহীনদের পাশেও আছে। এই ইতিহাস যাতে তারাও জানতে পারেন, তাই এই উদ্যোগ।