ঘূর্ণিঝড়ের কাঁটা, কল্যাণী থেকে সল্টলেকে সরল কেরল-বাংলা রঞ্জি ম্যাচ

মঙ্গলবার থেকে সেখানে প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে বাংলা দল।

বৃষ্টি থেমে গিয়ে ঝলমলে রোদ উঠেছিল। তারপরেও কল্যাণীর বেঙ্গল ক্রিকেট অ্যাকাডেমির মাঠ শুকানো যায়নি।যার নিট ফল, বাংলা বনাম বিহার রঞ্জি ট্রফির ম্যাচ ভেস্তে গিয়েছে। গ্রুপের দুর্বলতম দল বিহার। তাদের বিরুদ্ধে মাত্র এক পয়েন্ট নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে অনুষ্টুপ মজুমদারদের। কেরলের বিরুদ্ধে বাংলার পরের হোম ম্যাচও হওয়ার কথা ছিল কল্যাণীতেই। কিন্তু একে মাঠ নিয়ে প্রশ্ন। এর ওপর ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’।এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে ম্যাচ হওয়া নিয়েই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।তাই বাংলা বনাম কেরল ম্যাচ সরিয়ে নিয়ে আসা হল সল্টলেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে। মঙ্গলবার থেকে সেখানে প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে বাংলা দল।

মঙ্গলবার কয়েকজন ক্রিকেটারকে নিয়ে নেট প্রাকটিস করান কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্ল। কয়েকজন ক্রিকেটার জিমে ঘাম ঝরান। শুক্রবার থেকে এই মাঠেই হবে বাংলা বনাম কেরল ম্যাচ।কল্যাণীর ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েছে সিএবি। এবার বৃষ্টির হাত থেকে বেঁচে ম্যাচ করাতে তৎপর সিএবি।জানা গিয়েছে, কল্যাণীতে ম্যাচের আগে বৃষ্টিতে মাঠে প্রচন্ড কাদা হয়েছিল। চারদিনেও সেই কাদা শুকায়নি। তবে সল্টলেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গোটা মাঠ ঢাকার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে।ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টি হলে গোটা মাঠ কভারে ঢেকে রাখা হবে। বৃষ্টি থামলেই যাতে ম্যাচ শুরু করা যায়।

সিএবি সচিব নরেশ ওঝা বললেন, ‘ম্যাচ সল্ট লেকে সরানো হয়েছে। আমরা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সম্মতিও পেয়ে গিয়েছি।’ মঙ্গলবার বিকেল থেকেই মাঠের বেশিরভাগ অংশ কভার করে রাখা হয়েছে। যদিও দল কল্যাণীতেই খেলতে চেয়েছিল।কারণ, কল্যাণীর পিচ অনেক বেশি স্পোর্টিং এবং ম্যাচে ফয়সালা হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। কিন্তু সিএবি এই মুহূর্তে চায়, ম্যাচ অন্তত আয়োজিত হোক। বাংলা দলও সেটাই চাইছে। সেই কারণে ম্যাচ সল্ট লেকে সরিয়ে আনা হয়েছে।

কেরল ম্যাচে ঘূর্ণিঝড়ের কাঁটা তো আছেই, এরই পাশাপাশি তিন গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটারকে পাচ্চে না বাংলা।ভারত এ-দলের হয়ে অস্ট্রেলিয়া সফরে যাচ্ছেন অভিমন্যু ঈশ্বরণ, মুকেশ কুমার ও অভিষেক পোড়েল। তাদের পরিবর্তে দলে আসতে চলেছেন ঈশান পোড়েল, সাকির হাবিব গান্ধী।