আতঙ্কিত হবেন না। গুজব ছড়াবেন না। প্রশাসন সতর্ক রয়েছে। সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার বিকেল চারটে নাগাদ নবান্ন থেকে ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’ নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে এই বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay)। একই সঙ্গে তিনি জানান, রাতভর নবান্নে থেকেই তিনি পরিস্থিতির উপর নজর রাখবেন। ‘ডানা’র জন্য নবান্নে বিশেষ হেল্প লাইন (Help Line) চালু হয়েছে বলেও জানান মমতা।
• নবান্নের হেল্প লাইন নম্বর (০৩৩) ২২১৪৩৫২৬
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, কলকাতার ‘পাম্পিং সিস্টেম’ আগের থেকে অনেক উন্নত হয়েছে। তবে জেলাগুলিতে নির্মাণ কাজের জন্য অনেক জায়গায় নিকাশি নালার উপরেই বালি, পাথর ফেলে রাখা হয়। ফলে নিকাশি ব্যবস্থায় সমস্যা হয়। এই বিষয়টির দিকে নজর দিতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
ডিভিসি-র জল ছাড়া নিয়ে এদিন ফের একবার ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, জল ছাড়ার বদলে যদি খনন কাজ ঠিকমতো করত, তাহলে DVC জন্য বাংলায় এভাবে বানভাসি হত না।
বিভিন্ন দফতরের সচিবদের দুর্যোগ পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে জেলায় জেলায় মোতায়েন করা হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার দায়িত্বে মণীশ জৈন, উত্তর ২৪ পরগনার দায়িত্বে রাজেশকুমার সিংহ, হাওড়ায় রাজেশ পাণ্ডে, পশ্চিম মেদিনীপুরের সুরিন্দর গুপ্ত, হুগলিতে ওমপ্রকাশ সিংহ মিনা, পূর্ব মেদিনীপুরে পারভেজ আহমেদ সিদ্দিকি, ঝাড়গ্রামে সৌমিত্র মোহন এবং বাঁকুড়ার দায়িত্বে অবনীন্দ্র শীল রয়েছেন। দুর্যোগের আশঙ্কায় ইতিমধ্যে রাজ্যের ৯ জেলায় সব স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। উত্তর ২৪ পরগনা , দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে পারে। তাই আগাম সতর্কতা হিসাবে ২৩ থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত রাজ্যের এই ন’টি জেলার সব স্কুলে ছুটি থাকবে বলে আগেই ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।