ওড়িশাতেই আটকেছে ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’। আশঙ্কা থাকলেও বাংলায় বড়সড় প্রভাব ফেলতে পারেনি ঘূর্ণিঝড়। তবে ঝড়ো হাওয়ার দাপটে রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকায় কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। শুক্রবার দুপুরে নবান্নে (Nabanna) প্রশাসনিক বৈঠক থেকে এ কথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay)। একই সঙ্গে এখনই দুর্গত এলাকা না ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রশাসনিক আধিকারিকদের। জোর দিয়েছেন পর্যাপ্ত ত্রাণ বিলির উপরেও।
বিপর্যস্ত এলাকায় আরও দু-দিন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল (এনডিআরএফ) এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দল (এসডিআরএফ)-এর কর্মীদের মোতায়েন রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিভিন্ন রোগের হানা রুখতে মেডিক্যাল ক্যাম্প চালানোর নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি জমা জল থেকে মশাবাহিত বিভিন্ন রোগের প্রকোপের কথা মনে করিয়ে মশারি বিলির পরামর্শ দেন তিনি। তাঁর কথায়, “যেখানে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ রয়েছে, সেখানে মশারি দিতে হবে।” একইসঙ্গে অ্যান্টি ভেনাম মজুত রাখা এবং সাপে কামড়ালে দ্রুত চিকিৎসা নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। টেলি মেডিসিন কার্যকর করা যায় কি না, তা খতিয়ে দেখতে বলেন মমতা।
জেলাশাসকদের মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, কোথাও পলির কারণে জল জমে থাকলে, তা খতিয়ে দেখতে হবে।