সম্পদের পরিমাণ প্রায় দশ হাজার কোটি টাকা৷ ভাইবোন, গৃহ সহযোগী থেকে শুরু করে সহকারী শান্তনু নাইডু এবং জার্মান শেফার্ড টিটোও সেই সম্পত্তির অংশীদার৷ উইল (Will) করে এমন ব্যবস্থাই করে গিয়েছেন রতন টাটা (Ratan Tata)৷ কিন্তু সেই সম্পত্তির ভাগ পাচ্ছেন না ভাই নোয়েল টাটা (Noel Tata)৷ কেন বঞ্চিত টাটা ট্রাস্টের নয়া চেয়ারম্যান? এর পিছনে কী কোনও গুরুতর কারণ রয়েছে?

নোয়েল এতদিন টাটার বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে জড়িত ছিলেন৷ তিনি এখন ট্রাস্টের চেয়ারম্যান৷ টাটা ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, ভোল্টাস এবং টাটা ইনভেসমেন্ট কর্পোরেশনেরও চেয়ারম্য়ান। পাশাপাশি টাটা স্টিলের ভাইস চেয়ারম্যান। যদিও বহুবছর ধরে প্রচলিত খবর, রতন টাটার (Ratan Tata) সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ভালো নয়। দুই ভাইয়ের সম্পর্কটা অত্যন্ত জটিল। বাইরে থেকে অবশ্য এর কিছুই আঁচ পাওয়া যায় না। বিভিন্ন মিডিয়া রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, রতন এবং নোয়েল একই পিতার সন্তান হলেও, তাঁদের মা আলাদা। অর্থাৎ তাঁরা সৎ ভাই। অনেকে বলেন, নোয়েলের (Noel Tata) অভিজ্ঞতার উপর খুব একটা ভরসা ছিল না রতন টাটার। সে জন্যই না কি নোয়েলকে উত্তরাধিকার ঘোষণা করেননি তিনি।

আরও পড়ুন- বৃদ্ধতন্ত্র ছেড়ে তারুণ্যে জোর? CPIM-এর এরিয়া কমিটির নির্দেশিকায় ঘিরে জোর জল্পনা

এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, রতন টাটা তাঁর উইলে পোষা কুকুর টিটোর যত্নের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করেছেন ৷ পাশাপাশি তাঁর সহযোগী সুব্বাইয়া এবং সহকারী শান্তনু নাইডুকেও সম্পত্তির একটি অংশ বরাদ্দ করেছেন। টিটোর দেখাশোনা করবেন টাটার দীর্ঘদিনের বাবুর্চি রাজন শ৷ বিভিন্ন রিপোর্ট অনুযায়ী, রতন টাটা তাঁর সম্পদ ভাই জিমি টাটা, বোন শিরিন, গৃহকর্মী এবং অন্যান্যদের দান করেছেন। যদিও একমাত্র উইলে নোয়েল টাটার নাম উল্লেখ করা হয়নি৷ তাঁদের মধ্যে পারিবারিক টানাপড়েন ছিল, পাশাপাশি নোয়েলের অভিজ্ঞতার উপর খুব একটা ভরসা ছিল না রতন টাটার। আর এই কারণে ভাই নোয়েলর প্রতি তাঁর মন গলেনি বলে মনে করছেন অনেকেই।
