থ্রেট কলচারের অভিযোগ ছিল তাঁদের বিরুদ্ধেই। সাসপেন্ড করা হয়েছিল। কিন্তু কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে সেই সাসপেনশনে স্থগিতাদেশ জারি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শনিবার গণকনভেনশন এবং সমাবেশের ডাক দিয়েছেন আন্দোলনকারী অনিকেত, কিঞ্জল, দেবাশিসরা। পাল্টা নিজের কথা জানানোর জন্য মঞ্চ তৈরি করলেন আর জি করের জুনিয়র ডাক্তাদের একাংশ। নাম ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন’ (West Bengal Junior Doctors’ Association )। শনিবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে সংগঠনের কথা আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করা হবে।‘থ্রেট কালচার’-এর অভিযোগে ৫১ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করেছিল আরজি কর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এই নিয়ে গত সোমবার নবান্নের বৈঠকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাই কোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে সেই সাসপেনশন-বহিষ্কারের নির্দেশে স্থগিতাদেশ জারি হয়েছে। কিন্তু বুধবার কাজে যোগ দিতে গিয়েও সমস্যার সম্মুখীন হন তাঁরা। অধ্যক্ষের দ্বারস্থ হয়েও কোনও সুরাহা না মেলায় শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যভবনে স্মারকলিপি জমা দেন অরিত্র মণ্ডল, প্রণয় মাইতি, শ্রীশ চক্রবর্তী, সৌরভ দাস, অতনু বিশ্বাসরা। এবার নিজেদের কথা জানাতে সংগঠন তৈরি করলেন তাঁরা। সংগঠনে (West Bengal Junior Doctors’ Association ) দুজন আহ্বায়ক- শ্রীশ চক্রবর্তী ও প্রণয় মাইতি।
নতুন সংগঠনের সদস্যদের মতে, তাদের অ্যাকাডেমিক ও পেশাগত দায়িত্ব থেকে অন্যায়ভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে তাঁরা রাজ্যের মানুষের কাছে নিজেদের মতামত তুলে ধরবেন এবং অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাবেন। তাঁদের অভিযোগ, তাঁদের বিরুদ্ধে ‘থ্রেট কালচার’-এর মিথ্যে অভিযোগ দেওয়া হচ্ছে। এর বিরুদ্ধেই তাঁরা পাল্টা প্রচার করতে চাইছন।
