বাংলার সঙ্গে বৈষম্যের ছবি ফের স্পষ্ট হয়ে উঠল। মোদি সরকারের বৈষম্যের শিকার হয়েছে বাংলা, এই অভিযোগে একাধিক বার সরব হয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার মেডিক্যাল কলেজের অনুমোদনের ক্ষেত্রে এই বৈষম্যের ছবি সামনে এসেছে। সোমবার কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court) এর নির্দেশে যেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata banerjee) অভিযোগই মান্যতা পেল।

ন্যাশানাল মেডিক্যাল কাউন্সিলের (NMC) নিয়ম অনুসারে চাকদহের বেসরকারি মন্দাকিনী মেডিক্যাল কলেজের (Mandakini Institute of Medical Sciences and Hospital) সমস্ত প্যারামিটার সম্পূর্ণ থাকা সত্ত্বেও ন্যাশানাল মেডিক্যাল কাউন্সিলের তরফ থেকে মিলল না অনুমোদন। এদিকে মহারাষ্ট্র (Maharastha) বিধানসভার ভোটের আগে ভোট বৈতরণী পেরতে সেই রাজ্যের ৫টা মেডিক্যাল কলেজ ‘প্রস্তাব’ দিয়েই অনুমোদন মিলেছে বলে একাংশের অভিযোগ। প্যারামিটার সম্পূর্ণ করাটা তো দূরহস্ত।

সোমবার কলকাতা হাই কোর্ট বিচারপতি শুভেন্দু সামন্তের বেঞ্চে এই মামলা আসে, এই মামলায় চাকদাহের বেসরকারি মন্দাকিনী মেডিক্যাল কলেজ (Mandakini Institute of Medical Science and Hospital) তরফ থেকে বলা হয়, ন্যাশানাল মেডিক্যাল কাউন্সিল পরিদর্শণে এসে দেখেন কিছু টিচিং স্টাফ কম রয়েছে। যদিও কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি ছিল বেশ কয়েকজন অধ্যক্ষ ছুটিতে থাকার কারণে যেদিন পরিদর্শণ হয় সেদিন তাঁরা অনুপস্থিত ছিল। ফলে বাকি প্যারামিটার সম্পূর্ণ থাকা সত্ত্বেও হাসপাতাল কয়েকজন টিচিং স্টাফ ছুটিতে থাকার কারণে এ রাজ্যে মেডিক্যাল কলেজের অনুমোদন দেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে ন্যাশানাল মেডিক্যাল কাউন্সিলের আইনজীবির দিক থেকেও কোন যুক্তি বা উত্তর ছিল না। এই তথ্য সামনে আসতেই বৈষম্যের বিষয়টি কার্যত স্পষ্ট হয়ে যায়।

এরপর বিচারক শুভেন্দু সামন্ত নির্দেশ দেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য পরিবার কল্যান মন্ত্রকের অধীনস্ত মেডিক্যাল এডুকেশন ডিপার্টমেন্টকে এই বিষয়ে আগামী দু’দিন অর্থাৎ ৪৮ ঘন্টার মধ্যে চাকদহ মেডিক্যাল কলেজের অনুমোদনের পুর্নর্বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত জানাতে হবে।

আরও পড়ুন- পিছিয়ে গেল গগনযান মিশনের দিনক্ষণ! ‘চন্দ্রযান-৪’ নিয়েও বড় আপডেট ইসরোর
