রাজনৈতিক স্বার্থে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প চালু করছে না রাজ্য প্রশাসন। মঙ্গলবার, এই অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। বুধবার, সেই নিয়ে মোদির মিথ্যাচারের পর্দাফাঁস করলেন তৃণমূলের (TMC) রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তিনি জানান, আয়ুষ্মান ভারতের অর্ধেক টাকা কার্যত দিতে হয় রাজ্যকে। স্মার্ট ফোন বা টু হুইলার থাকলেই তিনি আয়ুষ্মান ভারতের সুবিধা পাবেন না। আর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সুবিধা পাচ্ছেন বাংলার সব মানুষ। এর পরেই মোদিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে কুণাল বলেন, পুরো টাকা নিজেরা দিয়ে আয়ুষ্মান ভারত করতে পারলে করুন।এদিন তৃণমূলের রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ জানান, আয়ুষ্মান ভারতের অর্ধেক টাকা কার্যত দিতে হয় রাজ্যকে। তার উপর এই কেন্দ্রীয় প্রকল্প সবার জন্য প্রযোজ্য নয়। স্মার্ট ফোন, টু হুইলার-সহ খুব সাধারণ জিনিস থাকলেই আয়ুষ্মান ভারতের টাকা পাওয়া যাবে না। অর্থাৎ সবাই এই প্রকল্পের আওতায় আসবেনই না। শুধু তাই নয়, এই প্রকল্পের অর্ধেক টাকা দেয় রাজ্য। রাজ্যের টাকা খরচ হচ্ছে, অথচ রাজ্যের সব মানুষ উপকৃত হচ্ছেন না। এই বিষয়টি কোনও ভাবেই পছন্দ নয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই জন্য রাজ্য সরকারের টাকা খরচ করে রাজ্যের সব মানুষ উপকৃত হোন সেটাই চান মমতা। সেই কারণে ওই টাকা বাঁচিয়ে তিনি রাজ্যের মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প চালু করেছেন, যেখানে সবাই আওতাভুক্ত।
মোদি বিতর্কিত ধারণা তৈরি করতে চেষ্টা করছেন প্রধানমন্ত্রী- অভিযোগ কুণালের (Kunal Ghosh)। এর পরেই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে তিনি বলেন, পুরো টাকা নিজেরা দিয়ে যদি আয়ুষ্মান ভারত করতে পারেন, করুন।

কুণাল জানান, আবাস যোজনার টাকাও দেয়নি কেন্দ্র। ফলে রাজ্যই সেই টাকা দেবে। প্রথম পর্যায়ে বাংলায় ১১ লক্ষ বাড়ির টাকা দেওয়া হবে। রাজ্যের এই সব প্রকল্পের কথা মানুষের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের বার্তা দেন তৃণমূলের রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ।
