আর জি কর নিয়ে আন্দোলনের রাশ কার হাতে, তা নিয়ে সংঘাতে জুনিয়র চিকিৎসকদের দুই সংগঠন। ফ্রন্টের তরফ থেকে গোটা উৎসবের মরশুমে যে আন্দোলন চালানো হয়েছে তা যে আদতে নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে নয়, তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে বৈঠকের লাইভ স্ট্রিমিংয়েই (live streaming) স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। এরপরই নতুন সংগঠন চিকিৎসকদের অ্যাসোসিয়েশন সরাসরি সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলায় অনেকটাই জনপ্রিয়তা হারাতে শুরু করে ফ্রন্ট। কালীপুজোর আগে সিজিও কমপ্লেক্স অভিযান করেও তেমন সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া তাঁরা পাননি। এবার সরাসরি সিবিআই (CBI)-কে প্রশ্ন পত্র তুলে দিচ্ছেন তাঁরা।

আন্দোলনকারী ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্টের প্রশ্ন, পুলিশের তদন্তের হাত ধরেই। সিসিটিভি (CCTV) ফুটেজ দেখে সেই রাতে সঞ্জয়ের একাধিক পদক্ষেপ নিয়ে কেন স্পষ্ট করা হয়নি সিবিআইয়ের তরফে তাদের চার্জশিটে, প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। প্রাথমিক তদন্তে যে সাদা তরলের (white fluid) অস্তিত্বের উল্লেখ করা হয়েছিল তার উল্লেখ সিবিআইয়ের প্রশ্নে তুলে ধরেন জুনিয়র চিকিৎসক দেবাশিস হালদার। সিবিআই (CBI) যে চার্জশিট (chargesheet) আদালতে পেশ করেছে, তাতে কেন সেই তরলের অস্তিত্ব নেই, প্রশ্ন তোলেন তিনি। কার্যত সিবিআইয়ের পদক্ষেপকে দায়সারা বলে উল্লেখ করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। প্রথম চার্জশিটে সঞ্জয় রায়ের নাম উল্লেখ করে অন্য কারো জড়িত থাকার বিষয়টি তদন্তাধীন বলে দাবি করে সিবিআই। সেক্ষেত্রে অন্য় কারো জড়িত থাকার বিষয়টি কবে সিবিআই স্পষ্টভাবে জানাবে, প্রশ্ন তোলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।

আর জি করের দুর্নীতির তদন্ত নিয়েও সিবিআইয়ের (CBI) গাফিলতির প্রশ্ন তোলে ফ্রন্ট। তাঁরা দাবি করেন, গ্রেফতার সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেনি সিবিআই। শিয়ালদহ আদালতে (Sealdah Court) অভিযুক্তদের পেশ ও আইনজীবীর উপস্থিতিতেও গাফিলতির প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। স্পষ্টভাবেই ফ্রন্টের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পদক্ষেপে তাঁরা হতাশ। যদিও এরপর তাঁদের দিক থেকে আদৌ কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হবে কিনা তা স্পষ্ট করেননি তাঁরা এদিন।
