মার্কিন মুলুকে সাধারণ নির্বাচন আগামী মঙ্গলবার হলেও সেপ্টেম্বরের শেষ থেকেই অগ্রিম ভোট প্রক্রিয়া বা আর্লি ভোটিং (early voting) শুরু হয়ে গিয়েছে আমেরিকা জুড়ে। সেই সমীক্ষা অনুযায়ী সামান্য হলেও এগিয়ে রয়েছে ডেমোক্রাটিক পার্টির (Democratic party) প্রার্থী কমলা হ্যারিস (Kamala Harris)। যদিও বিশেষজ্ঞদের মতে এই সংখ্যা মূল ভোটের দিন পাল্টে যেতে পারে, অন্তত রিপাবলিকাল (Republican party) প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) পরিসংখ্যান তাই বলছে।

ভারতে সাধারণত যেভাবে ব্যালট ভোট (ballot vote) হয় সেভাবেই আমেরিকায় আর্লি ভোটিং প্রক্রিয়া হয়। কর্মক্ষেত্র বা অন্যান্য অসুবিধার কারণে নির্দিষ্ট ভোটের দিনে যাঁরা ভোট দিতে পারেন না তাঁদের জন্য এই সুবিধা দেওয়া হয়। এক্ষেত্রেও নির্বাচনের ফলাফলের সঙ্গেই এই ভোটের ফলাফল প্রকাশিত হয় আমেরিকাতেও। যদিও বুথ ফেরৎ সমীক্ষার অবকাশ সেদেশেও রয়েছে। আর সেই সমীক্ষায় আপাতত এগিয়ে রয়েছেন উপরাষ্ট্রপতি (Vice-president) তথা বাইডেনের উত্তরসূরি পদপ্রার্থী কমলা হ্যারিস।
আমেরিকায় মোট ভোটার ২৩ কোটির কিছু বেশি। তার মধ্যে ৬ কোটির বেশি মানুষ এপর্যন্ত আর্লি ভোটিংয়ে (early voting) অংশ নিয়েছেন। বিভিন্ন প্রদেশের বুথ ফেরৎ সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে ডেনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) পক্ষে ভোট পড়তে পারে ৩৬.১ শতাংশ সেখানে কমলা হ্যারিসের (Kamala Harris) পক্ষে ৩৮.৯ শতাংশ ভোট পড়ার সম্ভাবনা। এই সব ভোট কোনওটি নির্দিষ্ট ভোটকেন্দ্রের মাধ্যমে পড়েছে, কোনওটি ই-মেলে।

২০২০ সালে আর্লি ভোটিং প্রক্রিয়ায় অবশ্য ১০কোটির বেশি ভোট পড়েছিল। তখন শেষ ভোটে বাজিমাত করেছিলেন জো বাইডেন (Joe Biden)। এবারেও আর্লি ভোটিংয়ে ভোটদানের হার আগেরবারের মত না হলেও অন্যান্য বারের থেকে বেশি। ফলে সমীক্ষায় আশায় বুক বাঁধছেন ডেমোক্রাটরা (Democrats)। যদিও ২০১৬ সালের নির্বাচনে এভাবেই আর্লি ভোটিংয়ে এগিয়ে ছিলেন হিলারি ক্লিন্টন (Hilary Clinton)। তবে শেষ পর্যন্ত জয়ী হন ট্রাম্প। যদিও সেবারে আর্লি ভোটিংয়ে ভোটদানের হার অনেক কম, মাত্র সাড়ে ৪ কোটি ছিল।
