রেশনে অনিয়ম ঠেকাতে অসাধু ডিলারদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কড়া বার্তা দিয়েছে রাজ্য সরকার (State Government)। এখন থেকে রেশন দোকানে সরকার থেকে বরাদ্দ করা চাল-গমের সঙ্গে মজুতের হিসাব না মিললে সংশ্লিষ্ট ডিলারকে মোটা টাকা জরিমানা দিতে হবে। খাদ্য দফতরের তরফে সম্প্রতি এই নির্দেশিকা জারি করেছে। নির্দেশিকা অনুযায়ী, রেশন দোকান (Ration Shop) থেকে বরাদ্দের অতিরিক্ত যতটা চাল-গম উদ্ধার হবে তার তিনগুণ অর্থ জরিমানা হিসেবে দিতে হবে ডিলারকে। রেশনের সামগ্রী যাতে বাইরে পাচার না হয়, সে জন্যেই এই ব্যবস্থা।
অভিযোগ, অনেক সময়ে রেশন ডিলাররা সরকারি ভর্তুকির চাল, গম, আটা খোলাবাজারে বিক্রি করে দেন। সেটা যাতে না হয়, সে জন্যেই এখন থেকে রেশন দোকানে কতটা চাল, গম, আটা মজুত রয়েছে এবার থেকে তার হিসেব নেওয়া হবে।

কোনও রেশন দোকান (Ration Shop) থেকে রোজ কতটা চাল, গম, আটা বিলি হচ্ছে, সেটা ই-পস মেশিনে নথিভুক্ত থাকে। মেশিন পরীক্ষা করলেই জানা যাবে, ডিলারের কাছে কতটা সামগ্রী পড়ে। তার কম-বেশি হলেই সংশ্লিষ্ট ডিলারকে জরিমানা করা হবে। প্রয়োজনে ডিলারের লাইসেন্সও বাতিল করা হতে পারে। রাজ্যের খাদ্য দফতরের জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী গরিবকল্যাণ যোজনা এবং রাজ্য খাদ্য-সুরক্ষা যোজনায় গ্রাহকদের রেশন দোকান থেকে যে চালান দেওয়া হবে তাতে চাল, গম, আটার ইকনমি কস্টও এ বার থেকে উল্লেখ করা হবে।
বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী গরিবকল্যাণ যোজনার গ্রাহকরা যে চাল পান, তার জন্যে কেন্দ্র কেজি-প্রতি ৩৭ টাকা ৪৬ পয়সা খরচ করে। এক কেজি আটায় কেন্দ্রের খরচ ২৭ টাকা ৯ পয়সা। সে-সব চালানে লেখা থাকবে। যাতে সাধারণ গ্রাহকরা সেটা বুঝতে পারেন। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশেই এই পদক্ষেপ। অন্য রাজ্যে অনেক আগেই এটা চালু হয়েছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সরকার এতে প্রথমে রাজি ছিল না। কিন্তু কেন্দ্র জানিয়ে দেয়, রেশনের টাকা আটকে দেওয়া হবে। তার প্রেক্ষিতেই এই ব্যবস্থা নিল রাজ্য সরকার।
