নির্বাচনের লড়াইয়ে উত্তেজনায় ফুটছে আমেরিকা। আজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন(US President Election)। ১৮৪৫ সাল থেকে নভেম্বরের প্রথম মঙ্গলবার ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এবারও ব্যতিক্রম ঘটেনি। ট্রাম্প (Donald Trump) না হ্যারিস (Kamala Harris) ‘সুইং স্টেট’গুলোই বাজিমাত করবে কে? এই প্রশ্নের উত্তর জানতে আর কিছু সময়ের অপেক্ষা। ৫ নভেম্বর নির্বাচন হলেও অক্টোবর থেকেই আগাম ভোট পর্ব শুরু হয়েছে। ডেমোক্র্যাট -নেত্রী কমলা হ্যারিস (Kamala Harris) বনাম রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) এই লড়াইয়ে বিভিন্ন সমীক্ষায় একে অন্যকে টক্কর দিয়েছেন ২ হেভি ওয়েট। তবে দুজনের ভাগ্য নির্ধারণ হবে সাতটি সুইং স্টেট-এর ভোটের ফলাফলের ভিত্তিতে।

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ক্ষেত্রে সবকটি রাজ্য বা প্রদেশটি মূলত তিনটে ভাগে ভাগ করা হয়। রিপাবলিকান (Red States) , ডেমোক্র্যাট (Blue States) এবং সুইং স্টেটস। ১৯৮০ থেকে রেড স্টেটসে জয়লাভ করেছেন রিপাবলিকান প্রার্থীরা। ১৯৯২ থেকে ব্লু স্টেটস ডেমোক্র্যাটের। তাই এই রাজ্যগুলোর ভোট সম্পর্কে একটা সাধারণ ধারণা করা যায়। কিন্তু অ্যারিজোনা, জর্জিয়া, মিশিগান, নেভাদা, নর্থ ক্যারোলিনা, উইসকন্সিং এবং পেনসিলভ্যানিয়ার রেজাল্ট যেকোনও সমীক্ষা এলোমেলো করে দিতে পারে। আমেরিকার ৫০টি প্রদেশের একটিতে জয়ী হওয়ার অর্থ সংশ্লিষ্ট প্রার্থী সেই প্রদেশের সব ক’টি ‘ইলেক্টোরাল কলেজ’ ভোট পেয়ে যাবেন। ইলেক্টোরাল কলেজের মোট ভোটের সংখ্যা ৫৩৮। হ্যান্ড মার্ক করা কাগজের ব্যালট, BMD বা ব্যালট মার্কিং ডিভাইস এবং ডিরেক্ট রেকর্ডিং ইলেকট্রনিক্স (DRI)-এর মাধ্যমিক ভোটাররা ভোট দিতে পারবেন। আমেরিকার ভোটের দিকে তাকিয়ে ভারত, চিন, বাংলাদেশ, ইজরায়েল,রাশিয়া, ইউক্রেনের মতো বিশ্বের বেশিরভাগ শক্তিশালী দেশ। সাদা বাড়ির মসনদে যেই বসুর না কেন, আড়াই বছর ধরে চলতে থাকা রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে দু’দেশের সঙ্গেই কূটনৈতিক সম্পর্ক বদলাতে পারে আমেরিকার। তাই পুতিনের পাশাপাশি এই নির্বাচনে বিশেষ নজর জেলেনেস্কির দেশের।
