৯ জনের ইস্টবেঙ্গলের দুরন্ত লড়াই। আর এই লড়াইয়ের সৌজন্যে আইএসএল-এ পয়েন্টের খাতা খুলল অস্কার ব্রুজোর দল। এদিন যুবভারতীতে মুখোমুখি হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল এফসি এবং মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। সেই ম্যাচে সাদা-কালো ব্রিগেডের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করল লাল-হলুদ। ডিফেন্সে দুরন্ত পারফম্যান্স আনোয়ার আলি এবং হিজাজি মাহেরের। আলাদা প্রশংসা গোলরক্ষক গিলকে।

খেলার ৩০ মিনিটের মাথায় দুটো লাল কার্ড। মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন নন্দ কুমার এবং মহেশ নাওরেম সিং। এদিন যুবভারতীতে ইস্টবেঙ্গল-মহামেডান ম্যাচে দেখা গেল এরকমই ছবি। যার ফলে ৯ জনে খেলতে হল লাল-হুলুদকে। প্রশ্ন উঠছে রেফারি হরিশ কুণ্ডুর রেফারিং নিয়ে।

ম্যাচে এদিন প্রথম থেকেই চলে আক্রমণ প্রতি আক্রমণের লড়াই। সাদা-কালো ব্রিগেডের ডিফেন্সে একের পর এক আক্রমণ চালায় দিয়ামানতাকোসরা। তবে পাল্টা আক্রমণ চালায় মহামেডান। তবে এরই মধ্যে ফ্রিকিক পায় লাল-হলুদ। ম্যাচের ২৫ মিনিটে বক্সের কাছে ক্রেসপোর বাড়ানো বল আসে তালালের কাছে, পাস বাড়িয়েছিলেন দিমিকে।সেই বল পেতেই, দিমিকে বক্সের বাইরে ফাউল করে মহমেডান ফুটবলাররা। ফ্রিকিক থেকে বল গোলেই রাখেন তালাল, কিন্তু মহামেডান গোলরক্ষক ভাস্কর রায় সেই শট সেভ করে দেন। এরপরই নাটকীয় মোড়। ম্যাচের ২৯ মিনিটে লাল-কার্ড দেখেন নন্দ কুমার। নন্দার সঙ্গে টাইকেল হয় অমরজিত সিং কিয়ামের। ২৭ মিনিটের মাথায় বল দখলের লড়াই হয় ইস্টবেঙ্গলের নন্দকুমার ও মহমেডানের অমরজিতের মধ্যে। সেই সময় নন্দকুমার নিজের ডান হাত চালান। তাঁর হাত গিয়ে লাগে অমরজিতের মুখে। তিনি মাটিতে পড়ে যান। প্রথমে রেফারি হরিশ কুন্ডু কোনও সিদ্ধান্ত নেননি। কিন্তু পরে সহকারী রেফারির সঙ্গে কথা বলে ২৯ মিনিটের মাথায় নন্দকুমারকে সরাসরি লাল কার্ড দেখান তিনি । আর এরপরই দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখানো হয় ইস্টবেঙ্গলের মহেশকে। ফলে তিনিও লালকার্ড দেখলেন। ম্যাচের ৩০ মিনিটেই ৯ জন হয়ে যায় লাল-হলুদ।

ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে ৯ জনেই দুরুন্ত আক্রমণ চালায় লাল-হলুদ। একের পর এক আক্রমণ চালায় তারা। তবে পাল্টা আক্রমণ করতে ভুল করেনি চেরনিসভের দল। ম্যাচের ৫৮ মিনিটে গোলের সামনে সহজ সুযোগ নষ্ট ফ্র্যাঙ্কার। জোডিংলিয়ানার ক্রস থেকে হেডারে গোল করতে ব্যর্থ ফ্রাঙ্কা। ম্যাচের ৮৬ মিনিটে ইস্টবেঙ্গল দলের পরিবর্তন। মাদিহ তালালকে তুলে আক্রমণে ক্লেইটন সিলভাকে নামান ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজো। এরপর সাদা-কালো ব্রিগেডকে বেগ দেয় লাল-হলুদ। এদিন ৯জনে ফুটবল খেলেও ১১জনের মহমেডানকে যেভাবে আটকে দিলেন হিজাজি মাহের, দিয়ামানতাকোস, আনোয়ার আলিরা, তা সত্যি প্রশংসনীয়।

আরও পড়ুন- কেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে পাকিস্তানে পাঠাবে না ভারতকে, আইসিসিকে জানাল বিসিসিআই : সূত্র
