চিন-বিরোধী মনোভাব নিয়ে তেমন রাখঢাক করেন না ট্রাম্প। আমেরিকার আগামী প্রশাসনও কিভাবে সাজাতে চাইছেন হবু প্রেসিডেন্ট? আসলে ট্রাম্পের প্রশাসনে দেখা যেতে পারে একাধিক এমন মুখ।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসাবে মাইক ওয়াল্টজকে নিয়োগ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। তিনি আমেরিকার আইনসভায় অনাবাসী ভারতীয় (ইন্ডিয়া ককাস) গোষ্ঠীর নেতা।
ফ্লোরিডা থেকে হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসে নির্বাচিত হয়েছেন মাইক। ২০২৩ সালে আমেরিকার ক্যাপিটল হিলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বক্তৃতার আয়োজনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল মাইকের। তিনি এক দিকে যেমন ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্কে বিশ্বাসী, তেমনই চিনের কট্টর বিরোধী হিসাবে পরিচিত।

কোডিভ-১৯ প্রসঙ্গে চিনকে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন তিনি। এর প্রতিবাদে ২০২২ সালে বেজিংয়ে আয়োজিত শীতকালীন অলিম্পিক্সও বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন মাইক।

জানা গিয়েছে, ট্রাম্পের আগামী প্রশাসনে বিদেশসচিব হিসাবে দেখা যেতে পারে সেনেটর মারকো রুবিওকে। চিন ‘বিরোধী’ মারকোরও ভারতের বিষয়ে বেশ নরম মনোভাব রয়েছে। দিল্লির সঙ্গে ওয়াশিংটনের সুসম্পর্কের বিষয়েও বার বার জোর দিয়েছেন মারকো। এশিয়ায় চিনের প্রভাব ঠেকানোর জন্য ভারতকে বিশ্বস্ত সঙ্গী বলে মনে করেন তিনি।

আগামী বছরের ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেবেন তিনি। মাঝে এখনও মাস দুয়েক সময় রয়েছে। তবে এই সময়টুকুও পুরোদস্তুর কাজে লাগিয়ে প্রশাসন পরিচালনার জন্য নিজের ‘ঘনিষ্ঠ বৃত্ত’ তৈরি কর ফেলছেন আমেরিকার হবু প্রেসিডেন্ট।
