বাসের রেষারেষি বরদাস্ত নয়, স্কুলের সামনে বসবে গার্ডরেল: দুর্ঘটনা কমাতে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত

বাসের রেষারেষি কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। দুর্ঘটনা কমাতে মেগা পরিবহন বৈঠক শেষে স্পষ্ট জানালেন পরিবহনমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী (Snehashis Chakraborty)। দুর্ঘটনা রুখতে আরও কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে রাজ্য সরকার। সাংবাদিক বৈঠকে জানালেন নগরোন্নয়ণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। মঙ্গলবার, সল্টলেকে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মৃত্যু হয় এক স্কুল পড়ুয়ার। ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে দার্জিলিং (Darjeeling) থেকে স্নেহাশিস চক্রবর্তীকে বৈঠক ডাকার নির্দেশ দেন। সেই মতো বৃহস্পতিবার সল্টকেলের নগরায়ণ ভবনে বৈঠকে বসেন স্নেহাশিস চক্রবর্তী, ফিরহাদ হাকিম, রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার, কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা-সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিক। ছিলেন বাস মালিক সংগঠনের নেতারাও।

বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর ফলে কোনও ব্যক্তির মৃত্যু হলে চালকের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করতে চায় পরিবহন দফতর। আগেই এই কথা জানিয়েছিলেন পরিবহন মন্ত্রী। এদিন বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে স্নেহাশিস (Snehashis Chakraborty) জানান, লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত-সহ ক্ষতিপূরণ ও আরও একগুচ্ছ কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে রাজ্য সরকার। রাশ ড্রাইভিংয়ের ক্ষেত্রে আর কোনও ঢিলেমি দিতে চায় না পরিবহন দফতর। তিনি স্পষ্ট জানান, কোনওভাবেই বাসের রেষারেষি বরদাস্ত করা হবে না।

ফিরহাদ হাকিম বলেন, বাস রেষারেষি করে কমিশন সিস্টেমে দৌড়ায়। আমি বলেছি একটা sop করতে যেটায় কমিশন সিস্টেম থাকবেনা। সেই রুটে ট্রাফিক মনিটরিং সিস্টেম থাকবে সেই অনুযায়ী বাস যাবে। জিপিএস সিস্টেম করে দিলে বাস মুভমেন্ট দেখা যাবে। এর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাজীব কুমারকে। অন্য রাজ্যের তুলনায় এখানে দুর্ঘটনা কম। মাসে এক বার সেফ ড্রাইভ সেভ লাইভ করা হবে। এডুকেশন ডিপার্টমেন্টে স্কুল লেভেলেও পড়ানো হবে। সব স্কুলের সামনে রেলিং বসবে। পুলিশ গার্ডরেল দেবে। একসঙ্গে সব স্কুলের পড়ুয়াদের ছাড়লে হবে না।

একইসঙ্গে পথচারীদেরও সতর্ক হয়ে চলার ক্ষেত্রে, রাস্তা পারাপারের ক্ষেত্রে, সিগন্যাল মানার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে নজর দিতে প্রচার ব্যবস্থাও রাখবে সরকার। এর বাইরে আরও কী কী করা যায় তার পরামর্শও চাওয়া হয়েছে পুলিশ ও বাস মালিক সংগঠনের কাছ থেকে। রাজ্য পুলিশ সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইভ কর্মসূচি করে। এবার থেকে রাজ্য জুড়ে পরিবহণ দফতরও এই কর্মসূচি করবে। কারণ বেপরোয়া চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গেলে অনেক সময়ই নানা অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয় বাস মালিকদের। তাদের বলা হয়েছে, চালকদের কমিশন প্রথার অবলুপ্তি ঘটাতে। সব মিলিয়ে কড়া পদক্ষেপ করাটা জরুরি হয়ে পড়েছে।