R G Kar-কাণ্ডে “চিত্ত স্বাধীন”, সঙ্গীতশিল্পীর ‘কুকীর্তি’তে মুখে কুলুপ! অরিজিৎ-শ্রেয়াদের মোক্ষম খোঁচা কুণালের

R G Kar-এর নৃশংস ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছিল বাংলা তথা সারা দেশে। রাজ্যের শাসক-বিরোধী সবপক্ষই তীব্র প্রতিবাদ করে বিচারের দাবি জানায়। ঘটনার প্রতিবাদে গান বাঁধেন জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী অরিজিৎ সিং (Arijit Singh)। প্রতিবাদ করে বিবৃতি দেন বলিউডের বিখ্যাত গায়িকা শ্রেয়া ঘোষালও (Shreya Ghoshal)। কিছুদিন আগে গানের স্কুলে নাবালিকা নিগ্রহের অভিযোগে মুম্বই থেকে চারু মার্কেট থানার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর ভাই সঙ্গীতশিল্পী সঞ্জয় চক্রবর্তী। কিন্তু এই বিষয়ের পরে দিন তিনেক কেটে গেলেও মুখে কুলুপ অরিজিৎ সিং, শ্রেয়া ঘোষাল, অভিজিৎ ভট্টাচার্যদের। এই নিয়ে স্যোশাল মিডিয়ায় মোক্ষম খোঁচা দিলেন তৃণমূলের (TMC) রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। অরিজিতের গানের লাইন তুলেই তীব্র কটাক্ষ করে কুণালের প্রশ্ন, “জাগবেন???? আর কবে????”

নিজের এক্স হ্যান্ডেল ও ফেসবুক পেজে সঙ্গীতশিল্পী সঞ্জয় চক্রবর্তীর ঘটনাটি জানিয়ে কুণাল (Kunal Ghosh) লেখেন,
“মুম্বাই থেকে অরিজিৎ, অভিজিৎ, শ্রেয়া, সকলেই আশা করি বাংলার মুখ উজ্জ্বল করা এই ঘটনাটি নিয়ে বিবৃতি দেবেন এবং একটি করে গান শোনাবেন।
অরিজিৎ… আর কবে…
মুম্বাই কিংবা হিন্দি বলয়ের কুকর্ম নিয়ে গান হবে…
আপনারা কি সিলেক্টিভ বিপ্লবী?
বাংলায় কিছু ঘটলে জাগেন, আপনাদের কর্মক্ষেত্রের সর্বভারতীয় জগতে হলে ঘুমান।
জাগবেন???? আর কবে????“

নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার অভিযোগে মুম্বই থেকে গ্রেফতার হন বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী আচার্য সঞ্জয় চক্রবর্তী। প্রিন্স বখতিয়ার শাহ রোডের প্রাণ সংগীত একাডেমিতে à§§à§« বছরের নাবালিকাকে সংগীত চর্চার বাহানায় শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। ঘটনার পরেই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পরে নাবালিকা। পরিবার সূত্রে খবর, একাধিকবার মেয়েটির উপর এমন প্রচেষ্টা করা হয়। এরপরেই চারু মার্কেট থানায় অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। আচার্য সঞ্জয় চক্রবর্তী সম্পর্কে পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর ভাই। শুধু তাই নয়, তাঁর পুত্র বিশাখ জ্যোতি ‘কেরালা স্টোরি’র সংগীত পরিচালক ও জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত এক ব্যক্তিত্ব। অন্যদিকে কিঞ্জল এই মুহূর্তে শ্রেয়া ঘোষালের সঙ্গীত সফরসঙ্গী। কিঞ্জলের বেশ কয়েকটি গানের কথা ও সুর দিয়েছেন তিনি। সবমিলিয়ে প্রথম থেকেই গোটা বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হয় প্রথম থেকেই। তবে কলকাতা পুলিশের অদম্য সহযোগিতায় অবশেষে তদন্তকারীদের জালে ধরা দিতে বাধ্য হন সংগীতশিল্পী। চলতি মাসের à§§à§® তারিখ পর্যন্ত পুলিশ হেফাজত হয়েছে তাঁর। তবে এই ঘটনা নিয়ে নীরব সঙ্গীত মহল। আর বাংলার যে ঘটনা নিয়ে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান পর্যন্ত দোষীর ফাঁসির দাবি করেছেন, সেই ঘটনা নিয়ে বাংলার বাইরে বসে মন্তব্য করছেন বিশিষ্ট বাঙালী সঙ্গীতশিল্পীদের!