ভরসন্ধ্যেয় কসবায় তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ালো। পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে তাঁর উপর গুলি চালানো হলেও কোনও কারণে গুলি না চলায় বেঁচে যান ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। স্থানীয় যুবকরা এক সুপারি কিলারকে ধরে ফেলে এবং সে মহম্মদ ইকবাল নামে এক ব্যক্তির নাম জানায় যে সুপারি দিয়েছিল। কলকাতা পুলিশ বিহারের বাসিন্দা ওই নাবালককে গ্রেফতার করে জেরা শুরু করেছে।

বিস্তারিত আসছে…

অন্যদিনের মতো শুক্রবার সন্ধ্যেয় নিজের ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাড়ির সামনে বসেছিলেন ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষ। সঙ্গে এক পুরুষ ও এক মহিলা কর্মীও ছিলেন। সিসিটিভি ফুটেজে যা উঠে এসেছে তাতে দেখা যায়, আচমকাই একটি স্কুটি সেখানে এসে থামে। সেখান থেকে এক নাবালক নেমে এসে শান্তভাবে কোমর থেকে বন্দুক বের করে। সুশান্তর দিকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে তাক করে ট্রিগার টেপে। কিন্তু গুলি না বেরোনোয় আবার ট্রিগার টেপে। কিন্তু এবারেও গুলি বেরোয়নি। ততক্ষণে স্কুটি চালক আরেক যুবক গাড়ি নিয়ে এগোতে থাকে। গুলি চালানো নাবালক স্কুটির দিকে ছুটে চলে যায়।

বরাত জোরে বন্দুক লক হয়ে যায় যার জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেন কাউন্সিলর সুশান্ত। তবে প্রকাশ্য রাস্তায় এভাবে গুলি চলার ঘটনায় কসবার মতো অভিজাত এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। তবে গুলি মিস হতেই কাউন্সিলরের অনুগামীরা ধাওয়া করেন স্কুটিটি। পিছনে বসা গুলি চালানো নাবালককে টেনে স্কুটি থেকে টেনে নামান তাঁরা। তারপর ধাওয়া করে ধরে ফেলেন তাঁকে। পরে তাকে চেপে ধরলে সে জানায় বিহারের বাসিন্দা ওই নাবালককে খাওয়া দাওয়া করিয়ে একটি ছবি দেখিয়ে পাঠানো হয়। সুশান্তকে সে চেনে না। মহম্মদ ইকবাল নামে কেউ তাকে খুনের সুপারি দেয়। পরে নাবালককে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

কলকাতা পুলিশের অ্যান্টি রাউডি সেকশনের তদন্তকারীরা এলাকায় তদন্তে পৌঁছান। সুশান্তর দাবি, এই ঘটনার পিছনে ১০৭ বা ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের কেউ যুক্ত নন। তবে যে ধরনের অস্ত্র তার হাতে ছিল তা পরিকল্পনামাফিক খুনের ছক বলেও দাবি করেন তিনি। ঘটনার পরই কাউন্সিলরের ১০৭ নম্বরের অনুগামীরা অবরোধ করেন রাসবিহারী মোড় কানেক্টর। পরে কাউন্সিলরের সঙ্গে দেখা করতে আসেন রাজ্যের মন্ত্রী জাভেদ খান, ইন্দ্রনীল সেন ও সাংসদ মালা রায়। পুলিশের তদন্তের উপর আস্থা রাখার বার্তা দেন তাঁরা।
