মহাযুতি-তে ভাঙন! মোদির সভায় ফাঁকা চেয়ারে কটাক্ষ কংগ্রেসের, বেসুরো অজিত

একদিকে যখন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) মহারাষ্ট্রে পৌঁছালে ভিড় উপচে পড়ছে, সেখানে মোদির (Narendra Modi) সভার ফাঁকা চেয়ারকে

নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সভা চলছে আর শিবাজী পার্কের (Shivaji Park) মতো জায়গায় সারি সারি শুধু ফাঁকা চেয়ার। এমন দৃশ্য মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) বুকে বিজেপি শেষ কবে দেখেছে তা হয়তো মনে করা যাবে না। যাঁরা উপস্থিত ছিলেন তাঁরাও মোদির বক্তব্য চলাকালীন উঠে পিঠটান দিলেন। এই দৃশ্য দেখে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি পায়ে হেঁটে নানদেদের রাস্তায় জনসংযোগ করতে আসা রাহুলের (Rahul Gandhi) কর্মসূচিতে উপচে পড়া ভিড় আয়োজন করা কংগ্রেস নেতারা।

নির্বাচনমুখী মহারাষ্ট্রে স্পষ্ট এনডিএ (NDA) জোটের ভাঙন। নরেন্দ্র মোদির সভায় মঞ্চ থেকে মঞ্চের নিচের চেয়ার স্পষ্ট করে দিল মহারাষ্ট্র বয়কট করছে বিজেপির নেতৃত্বে অশুভ জোটকে। একদিকে যখন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) মহারাষ্ট্রে পৌঁছালে ভিড় উপচে পড়ছে, সেখানে মোদির (Narendra Modi) সভার ফাঁকা চেয়ারকে তীব্র কটাক্ষ কংগ্রেসের। আর বিজেপির এই দুরবস্থাকে আরও তীব্র করছে যোগি আদিত্যনাথকে নিয়ে এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ারের বক্তব্য ও তার পাল্টা উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফাড়নবিশের তোপ। তাঁর দাবি, কংগ্রেস সংসর্গে থাকায় মহারাষ্ট্রের মানুষের মনোভাব এখনও বুঝে উঠতে পারেননি অজিত পাওয়ার (Ajit Pawar)। বিরোধিতা এতটাই স্পষ্ট যে মোদির সভাতেও অনুপস্থিত অজিত বা তাঁর অনুগামীরা।

মহারাষ্ট্রে নির্বাচনী প্রচারে এসে ‘বাটেঙ্গে তো কাটেঙ্গে’ স্লোগানে প্রচার করেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগি আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। তারই প্রকাশ্যে বিরোধিতা করেন এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ার (Ajit Pawar)। এরপরই বৃহস্পতিবার নরেন্দ্র মোদির সভায় অনুপস্থিত অজিত পাওয়ার বা তাঁর গোষ্ঠীর সব নেতা। প্রচার মঞ্চে মোদির পিছনে এনসিপির (NCP Ajit fraction) নাম জ্বলজ্বল করলেও আদতে তাঁদের কোনও নেতাই সেখানে ছিলেন না। এমনকি বিজেপির অভ্যন্তরেও ভাঙন কতটা তা স্পষ্ট করে দেয় সারি সারি ফাঁকা চেয়ার। অর্থাৎ স্থানীয় নেতারাও মাঠ ভরাতে আগ্রহ দেখাননি। কংগ্রেসের কটাক্ষ মোদি যে পরিমাণ মিথ্যা কথা বলেন তার প্রত্যুত্তর নির্বাচনে দেবেন মহারাষ্ট্রের মানুষ। তারই প্রমাণ তাঁর সভার ফাঁকা চেয়ার।