প্রচারে বাধা! ‘প্রোটোকল’ দেখিয়ে রাহুলের চপার ওড়ায় জটিলতা ঝাড়খণ্ডে

বেলা ১.১৫ মিনিটে দেওঘরের বালবাড্ডায় তাঁর চপার সভার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হলে বাধ সাধে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (ATC)

ঝাড়খণ্ড নির্বাচনে যেন তেন প্রকারে জোটের জয় আটকাতে মরিয়া বিজেপি সরকার। কখনও মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের (Hemant Soren) চপার আটকে, কখনও লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) চপার ওড়ার অনুমতি না দিয়ে প্রচারে বাধা দেওয়ার চেষ্টায় সচেষ্ট মোদি সরকার। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর সভার অজুহাতে প্রায় এক ঘণ্টা চপারে (chopper) বসিয়ে রাখা হল বিরোধী দলনেতাকে। কংগ্রেসের দাবি, তাঁদের শাসনকালে নির্বাচনী প্রচারের ক্ষেত্রে কখনও বিরোধীদের এই হয়রানির শিকার হতে হয়নি।

শুক্রবার ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় (Godda) জনসভা করেন রাহুল গান্ধী। সেখান থেকে বেলা ১.১৫ মিনিটে দেওঘরের বালবাড্ডায় তাঁর চপার সভার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হলে বাধ সাধে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (ATC)। জানানো হয় দেওঘরে (Deoghar) প্রধানমন্ত্রীর হেলিকপ্টার থাকায় প্রোটোকল অনুসারে সেখানে নো ফ্লাই জোন রয়েছে। ফলে অনুমতি দেওয়া হয়নি রাহুলের চপার ওড়ার।

প্রায় ৪৫ মিনিট চপারেই বসে অপেক্ষা করেন রাহুল। এরপর এটিসির (ATC) অনুমতি পেলে চপার উড়তে পারে। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে ইচ্ছাকৃতভাবে নো ফ্লাই জোনের (No fly zone) অজুহাতে আটকে দেওয়া হয় রাহুলের চপার যাতে অন্য সভায় যেতে তাঁর দেরি হয় ও কিছু পরিকল্পনা বাতিল করা হয়। আগে থেকে অনুমতি থাকা সত্ত্বেও প্রচারের কাজে এভাবে পরিকল্পনামাফির বাধার প্রতিবাদে নির্বাচন কমিশনকে (Election Commission of India) লিখিত অভিযোগ জানানো হয় কংগ্রেসের তরফে।

একইভাবে বৃহস্পতিবার ঝাড়খণ্ড মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের উড়ান বাতিল করে এটিসি (ATC)। প্রতিবাদে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর (President Draupadi Murmu) হস্তক্ষেপ দাবি করেন তিনি। এর আগে প্রথম দফা নির্বাচনের প্রচারের শেষদিন তাঁর স্ত্রী তথা ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (JMM) প্রার্থী কল্পনা সোরেনের উড়ানও আটকায় কমিশন। তিনি চপারে বসে ভার্চুয়াল সভা করেন। লোকসভা নির্বাচনের সময় থেকে বিরোধীদের প্রচার আটকাতে উড়ান আটকে সচেষ্ট ছিল কেন্দ্রের মোদি সরকার। একই পন্থা বিরোধী শাসিত ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনেও জারি রাখার অভিযোগ বিরোধীদের।