আলুর বীজ বপনের চলতি মরশুমে সার নিয়ে কালোবাজারি রুখতে রাজ্য সরকার কড়া নজরদারির নির্দেশ দিয়েছে। আলু চাষের জন্য ব্যবহৃত এনপিকে সারের চাহিদার সুযোগ নিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা যাতে বাজারে এই সারের দাম কৃত্রিম ভাবে না বাড়িয়ে দেয় তা দেখতে বলা হয়েছে। এ নিয়ে কৃষকদের মধ্যে যাতে অসন্তোষ তৈরি না হয় তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে প্রতিটি ব্লকে কৃষকরা নায্যমূল্যে আলু চাষের জন্য এনপিকে সার, বাজার থেকে পাচ্ছেন কিনা তা দেখতেও কৃষি দফতর জেলা গুলিকে নির্দেশ দিয়েছে বলে নবান্নে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে।

এজন্য সপ্তাহে অন্তত একবার প্রতিটি ব্লকে কৃষি আধিকারিকদের নিয়ে পর্যালোচনা করা হবে। সার সরবরাহ ঠিক আছে কিনা, কালোবাজারি হচ্ছে কিনা, এই নিয়ে কৃষকদের কোনও ক্ষোভ তৈরি হয়েছে কিনা। তা পর্যালোচনা করে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়ায় রাজ্যে আসন্ন রবি মরশুমে আলু সহ বিভিন্ন শাকসবজি চাষে সারের যোগানে ঘাটতি দেখা যেতে পারে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় হাতে থাকা সারের সুষম বন্টন এবং বিকল্প সারের ব্যবহারের উপর জোর দিচ্ছে রাজ্য সরকার। একই সঙ্গে সারের কালোবাজারি রুখতেও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এমত অবস্থায় যেটুকু সার রাজ্যের হাতে রয়েছে তার যাতে সুষম বন্টন হয় সে ব্যাপারে সরবরাহকারীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ডিভিসির বাঁধ থেকে অপর্যাপ্ত জল ছাড়া এবং ঘূর্ণিঝড় দানার কারণে ইতিমধ্যেই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন কৃষকেরা। এখন সারের ঘাটতির কারণে যাতে তাদের কোন সমস্যায় পড়তে না হয় রাজ্য সরকার তা নিশ্চিত করবে। পাশাপাশি ই পস মেশিনে বাধ্যতামূলকভাবে বায়োমেট্রিকের মাধ্যমে চাষীদের কাছে সার বিক্রি করার কথা বলা হয়েছে। সার বিক্রির সময় চাষীদের অতিরিক্ত কিছু বিক্রি করা যাবে না বলে ব্লকের কৃষি আধিকারিকদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে তাদের নজরদারি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এনপিকে সারের বিকল্প যে সকল সার রয়েছে, বিক্রয় কেন্দ্রগুলিতে তার তালিকা ও দাম বাধ্যতামূলকভাবে প্রকাশ্যে লিখে রাখার কথা বলা হয়েছে। উল্লেখ্য রাজ্যে বর্তমানে রবি চাষে ৬ লক্ষ ৭২ হাজার হেক্টর কৃষি জমির জন্য পাঁচ লক্ষ এক হাজার মেট্রিক টন এনপিকে সারের প্রয়োজন হয়।

আরও পড়ুন- আন্তর্জাতিক বিচারসভায় রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ! হাসিনাকে চাপে রাখার পথে বাংলাদেশ

