গত বৃহস্পতিবারই এক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন যে বাইরে থেকে অস্ত্র ঢুকছে। পুলিশকে আরও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। বলেছিলেন নজরদারি বাড়াতে। তার ২৪ ঘণ্টাও পেরোয়নি।মালদার কালিয়াচকে ঘটে গেল মর্মান্তিক ঘটনা। বন্দুক থেকে গুলি ছিটকে মৃত্যু হল অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রের।পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ঘটনায় সামিউলের এক বন্ধু সাফি আলিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।কিন্তু তাদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র এল কী করে? সে ব্যাপারে তদন্ত করছে পুলিশ।প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা না খুনের ঘটনা তা নিয়ে ধন্দে পড়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা। সামিউলের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। তা খতিয়ে দেখে পুলিশ জানতে পারে সেই ফোন থেকে নিয়মিত রিলস বানানো হতো। ফোনের সূত্র ধরেই সাফির খোঁজ পায় পুলিশ। পুলিশের অভিযোগ, সাফি তার বন্ধু সামিউল ইসলামের মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ধরে গুলি চালায়।

কালিয়াচক থানার আইসি সুমন রায়চৌধুরী জানান, শুক্রবার সকাল সাড়ে এগারোটায় এই ঘটনা ঘটেছে। সেই সময়ে বাড়ির ছাদে সামিউল ও তার বন্ধু সাফি আলি রিলস বানাচ্ছিল। একটি সেভেন এমএম পিস্তল নিয়ে তারা রিলস তৈরি করছিল। রিলস বানাতে গিয়ে বন্দুক থেকে গুলি ছুটে যায়। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় সাফি। পরে প্রতিবেশীরা বাড়িতে ঢুকে সামিউলের রক্তাক্ত দেহ দেখতে পান। দেহের পাশে ওই আগ্নেয়াস্ত্রটিও পাওয়া যায়।নেহাতই অসাবধানতাবশত গুলি চালানো হয়েছিল, না কি এর পেছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ধৃত সাফিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বন্দুকটি কার কাছে ছিল, কী ভাবে এল, সে ব্যাপারেও খোঁজ নিচ্ছে পুলিশ।
কিন্তু একজন অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়ার হাতে আগ্নেয়াস্ত্র দেখে তাজ্জব সকলে। কীভাবে এই আগ্নেয়াস্ত্র এল কিশোরের হাতে, সেনিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সকলে। স্থানীয়দের একজন বলেন, ক্যামেরা মোবাইল থেকে রিল বানাচ্ছিল। একসঙ্গে খেলাধুলো করত। আমাদের অনুষ্ঠান ছিল, সেখানেই এসেছিল।

