ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ অগাস্ট বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে চলে আসেন।বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে এসে দিল্লিতে রয়েছেন তিনি। কিন্তু তার সেই মোবাইল ফোন ব্যবহার করা হচ্ছে ভারতে।প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ভারতে থেকে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে বিবৃতি দিচ্ছেন।দলীয় নেতা–কর্মীদের সঙ্গে তার কথোপকথনের অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে।

জানা গিয়েছে, সুইডেনে প্রবাসী আওয়ামী লিগ কর্মীদের এক জমায়েতে ভাষণ দিতে স্থানীয় এক নেতা হাসিনাকে ফোনে ধরেন। তিনি তাদের অনুমতি দেন, তাঁর বক্তব্য রেকর্ড করে ছড়িয়ে দেওয়া যাবে। তার কোনও আপত্তি নেই।অন্তরাল থেকে ভাষণে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা নিশানা করেন দেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস এবং বাকি উপদেষ্টাদের। বলেন, এরা সকলে গণহত্যাকারী। ৫ অগাস্টের পর বাংলাদেশে এরা গণহত্যা চালিয়েছে।

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ, ইউনুস বাংলাদেশকে জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত করছেন। দায়িত্ব নেওয়ার পরই দাগি বন্দিদের জেল থেকে ছেড়ে দিয়েছেন। হাসিনার কথায়, ইউনুসের সঙ্গে জঙ্গিদের যোগাযোগ আছে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও মুখ খোলেন। বলেন, শেয়ার মার্কেটের টাকা উধাও, ব্যাঙ্কে টাকা নেই। ব্যাঙ্কের টাকা উধাও। সেসব টাকা গেল কোথায়? ২০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য আমি রেখে এসেছি। কোথায় গেল সেই খাদ্য ? সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি।

তার বক্তব্য, শ্রমিকেরা বেতনের দাবিতে আন্দোলন করছিল। গুলি করে দু’জনকে খুন করা হয়েছে। চাকরির বয়সসীমা কমানোর দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার অফিসের সামনে জমায়েত করেছিল ছাত্ররা। তাদের পিটিয়ে তুলে দিয়েছে। একজন পড়ে মারা গিয়েছে। অথচ, আমার সময়ে আন্দোলনে কোনও বাধা ছিল না। কোটা আমিই বাতিল করে দিয়েছিলাম। তারপরও কোটা আন্দোলন শুরু হল। তারপর শুরু হল এক দফা। হাসিনার কথায়, ওদের উদ্দেশ্য ছিল আমাকে হত্যা করা।


‘হ্যাঁ আপা’ বলে উপস্থিত সকলে নেত্রীর কথায় গলা মেলান। হাসিনা তখন বলেন, যে গণহত্যা চলছে তার বিচার হবে। বিচার আমি করবই।

