বিদ্যুৎ চক্রবর্তী চলে যাওয়ার পরেও বিশ্বভারতীকে (Visva-Bharati) গেরুয়াকরণের অভিযোগ। সেই পন্থায় আয়োজন করা বক্তব্য সভা ঘিরে বিক্ষোভে উত্তাল বিশ্বভারতী। এসএফআই (SFI) ছাত্রদের বিরল আন্দোলন ও রীতিমত ধস্তাধস্তির পরিস্থিতি তৈরি হয়। পড়ুয়াদের দাবি, কেন শ্যামাপ্রসাদ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের মতো সংস্থাকে আলোচনার জন্য বিশ্বভারতীতে ডাকা হবে। বিক্ষোভের জেরে অর্ধসমাপ্ত থেকে যায় আলোচনাসভা। যদিও বিজেপি নেতা অনির্বান গঙ্গোপাধ্যায়ের (Anirban Ganguly) দাবি তিনি আলোচনা সফলভাবে করেছেন।

বাংলা সহ দেশের বেশ কয়েকটি ভাষাকে সম্প্রতি ধ্রুপদী ভাষার (CLassical Language) স্বীকৃতি দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। ভাষার চর্চা নিয়ে চিরকাল গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে আসা বিশ্বভারতী (Visva-Bharati) এই ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতির পরে সেই ভাষা নিয়ে কীভাবে কাজ করা যায়, তা নিয়ে আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়। আশ্চর্যজনকভাবে বিশ্বভারতীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করা বিভিন্ন সাহিত্য বা ভাষার গবেষণা সংস্থাকে না ডেকে সেই আলোচনার অংশীদার করা হয় শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী রিসার্চ ফাউন্ডেশনকে (Shyama Prasad Research Foundation)। কার্যত প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর আমলে এই বিশ্ববিদ্যায়লকে গেরুয়াকরণের যে পথ খুলেছিল, তাকেই পরিণতির দিকে নিয়ে যাওয়ার পথে বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, মত অধ্যাপক মহলের।
আবার শুক্রবার সেই আলোচনাসভার বক্তা হিসাবে ডাকা হয় বিজেপি নেতা অনির্বান গঙ্গোপাধ্যায়কে (Anirban Ganguly)। এরপরই বিক্ষোভ দেখাতে থাকে এসএফআই (SFI)। বিশ্বভারতীর লিপিকা প্রেক্ষাগৃহের বাইরে বিক্ষোভ শুরু করে তারা। এরপর অনির্বান গঙ্গোপাধ্যায় সেখানে উপস্থিত হলে তাঁর পথ আটকায় এসএফআইয়ের বিক্ষোভকারীরা। ধস্তাধস্তি শুরু হয় নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে। এরপর কোনওক্রমে আলোচনাসভায় ঢুকলেও অনির্বান গঙ্গোপাধ্যায় বক্তব্য শুরু করতেই প্রেক্ষাগৃহের ভিতরে ঢুকে স্লোগান দিতে শুরু করে এসএফআই। বক্তব্য ছোট করে দ্রুত নেমে আলেন অনির্বান। যদিও আলোচনা সফল বলে দাবি করেন তিনি।
