Friday, November 14, 2025

৬ কেন্দ্রেই সবুজ ঝড়: অপ্রত্যাশিত নয়, মত দিলীপের, সুকান্তর ‘অলীক’ দাবি নিয়ে কটাক্ষ কুণালের

Date:

বাংলার উপনির্বাচনে ৬টি আসনেই সবুজ ঝড়। তা দেখে একেবারেই বিস্মিত নন বিজেপির (BJP) প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তাঁর সাফ কথা, এই ফল অপ্রত্যাশিত নয়। জানতাম আমরা হারব। কিন্তু বিজেপির বর্তমান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumder) দাবি আবার আজব! তাঁর মতে, উপনির্বাচনে ধরাশায়ী হলেও ছাব্বিশের নির্বাচনে না কি তাঁরাই বাংলায় সরকার গড়বেন। বিরোধী নেতাদের এই সব বক্তব্য শুনে তৃণমূলের (TMC) রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) মন্তব্য, বিজেপি অলীক স্বপ্ন দেখছে।

এদিন, উপনির্বাচনে গণনার প্রথম থেকেই ছটি কেন্দ্রে এগিয়ে ছিলেন তৃণমূল প্রার্থীরা। এমনকী, উত্তরের সিতাই, মাদারিহাটেও জয়ী শাসকদল। এই ফল থেকে একেবারেই অবাক নন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। তাঁর মতে, এই ফল প্রত্যাশিত। প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সাফ জানান, “২০২১ সালের পর থেকে পার্টির ডাউনফল শুরু হয়েছে। রেজাল্ট ভাল হচ্ছে না। আমাদের এখন ডাউন যাচ্ছে।” এমনকী, বাংলার বিভিন্ন ইস্যু কোনওটাই পদ্মশিবির ধরতে পারছে না বলেও আত্মসমালোচনা করেন দিলীপ। তাঁর কথায়, “একটা ইস্যুই রাজনীতি পাল্টে দেয়। সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম ইস্যুতেই হাওয়ায় পাল্টে গিয়েছিল। এই যে এত ঘটনা ঘটছে, হয়ত আমাদের দল সেই ইস্যুগুলিকে নিতে পারছে না।” দিলীপ ঘোষের গলায় রাজনৈতিক সন্ন্যাস নেওয়া কথাও শওনা গিয়েছে। তিনি বলেন, “যতদিন ভাল লাগবে রাজনীতি, যতদিন সম্ভাবনা রয়েছে, ততদিন থাকব। এবার ভোটে লড়ব না দলকে বলেছিলাম। কারণ রেজাল্ট আমার জানা ছিল। একটা সময় আসে, পার্টি যে দায়িত্ব দেয় করতে হয়। আমাকে সর্বোচ্চ পদে বসানো হয়েছিল। আমার কল্পনায় ছিল না বিধায়ক, সাংসদ হব। দল দায়িত্ব দিয়েছে, করে দিয়েছি। দলকে জিতিয়েছি। লড়তে শিখিয়েছি দলকে। মনে হয়, আমার রাজনৈতিক দায়িত্ব শেষ হয়ে এসেছে।” এই কথায় দিলীপের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ কুণাল ঘোষ বলেন,  “হাল ছেড়ো না বন্ধু, কণ্ঠ ছাড়ো জোরে।” এর আগেও দিলীপের সঙ্গে বিজেপি অন্যায় করেছে, কোণঠাসা করেছে বলে মন্তব্য করেন কুণাল।

তবে, পদ্মশিবিরের বর্তমান রাজ্য সভাপতি সুকান্তকে ধুয়ে দিয়েছেন কুণাল (Kunal Ghosh)। উপনির্বাচনের ফলের পরে সুকান্ত বলেন, “উপনির্বাচনে এমনই ফল হয়। কারণ, বহু এলাকায় ভোটই দিতে হয়নি। তবে ২০২৬ সালে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ক্ষমতায় আসবে।” এর পাল্টা কুণালের কটাক্ষ, “উনি অলীক স্বপ্ন দেখছেন, স্বপ্ন দেখতে বাধা দেব কেন! বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের সঙ্গে ছিলেন, আছেন এবং আগামী দিনেও থাকবেন।” উপনির্বাচনে পরাজয়ের ব্যর্থতা ঢাকতে বিজেপি নেতারা এই সব ভিত্তিহীন কথা বলছেন বলেও অভিযোগ কুণালের।










Related articles

গণমাধ্যমই সাঁটিয়ে দিচ্ছে বাংলাদেশী তকমা! জবাব দিতে তৈরি বাংলা

পেশায় শ্রমিক। পেটের দায়ে তারা নানা জায়গায় ছোটেন। কাজের তাগিদে অন্যত্র গেলেই একশ্রেণির মিডিয়া চিৎকার করে ওঠে, ওই...

বিহারের ফলাফলে বাংলা নিয়ে মোদির স্বপ্ন ‘সেগুড়ে বালি’: ধুইয়ে দিল তৃণমূল

একদিকে যখন বিহারে নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হচ্ছে, তখন বাংলার বিজেপি নেতারা হঠাৎই আবির খেলা, মিষ্টিমুখে মেতে উঠেছেন। ফলাফল...

SIR আতঙ্কে মৃত্যু: পরিবারের পাশে তৃণমূল নেতৃত্ব

SIR–এর আতঙ্কে প্রায় এক সপ্তাহ আগে আত্মঘাতী হন মুর্শিদাবাদের কান্দি পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বাগডাঙা এলাকার বাসিন্দা মোহন...

দিল্লি বিস্ফোরণের জের: রাজ্যের বিশেষ বিশেষ স্থানে ঢেলে সাজছে নিরাপত্তা

রাজধানীতে গোয়েন্দা ব্যর্থতা স্পষ্ট। সেই সঙ্গে অমিত শাহর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দিল্লি পুলিশও। দিনভর ঘাতক গাড়ি ঘুরে বেড়ালো, অথচ...
Exit mobile version