সার্ভে ঘিরে ধুন্ধুমার! যোগীরাজ্যে ‘পুলিশের গুলিতে’ তিন মৃত্যুর অভিযোগ

তাঁদের নাম নৌমান, বিলাল ও নইম। তবে পুলিশের দাবি পাথর হামলায় ৩০ পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন। অন্তত দশটি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়

যোগীরাজ্যে বিক্ষোভ থামাতে পুলিশের গুলি। অভিযোগ পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় তিন যুবকের। উত্তরপ্রদেশের (Uttarpradesh) সম্ভলে রবিবার পুলিশকে লক্ষ্য করে ব্যাপক পাথরবৃষ্টির অভিযোগও উঠেছে। মসজিদের সার্ভে (survey) করাকে ঘিরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলেও পুলিশ গুলি চালায়নি বলেই দাবি করেছে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন।

রবিবার সকালে বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে আদালতের নির্দেশে সার্ভে শুরু হয় সম্ভলের (Sambhal) শাহি জামা মসজিদের (Shahi Jama Masjid)। এই মসজিদ নিয়ে মামলায় দাবি করা হয়েছিল, মন্দির ভেঙে মোঘল আমলে এই মসজিদ নির্মাণ হয়েছিল। তারই সার্ভে করতে যান আধিকারিকরা। সেই সময় তিনদিক থেকে পাথর ছোঁড়ার (stone pelting) অভিযোগ করে পুলিশ। অন্তত ৩০০ মানুষ পুলিশ ও সার্ভের কর্মীদের ঘিরে ধরে বলে অভিযোগ। বিগত কয়েকদিন ধরেই মসজিদ নিয়ে মামলা ঘিরে এলাকায় উত্তাপ বাড়ছিল। রবিবার সেই পরিস্থিতি চরমে পৌঁছায়।

পাল্টা টিয়ার গ্যাসের (tear gas) সেল ফাটায় পুলিশ। তার মধ্যেও জারি থাকে সার্ভের কাজ। পরিস্থিতি শান্ত হলে এলাকাতেই তিন যুবককে পড়ে থাকতে দেখা যায়। উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন। একাধিক ভিডিওতে (ভিডিওর সত্যতা বিশ্ববাংলা সংবাদ যাচাই করেনি) দেখা যায় পুলিশকে বন্দুক হাতে গুলি চালাতেও। পরিস্থিতি সামলাতে এলাকা থেকে অন্তত ১৮ জনকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানায় পুলিশ। তিন যুবকের মৃত্যুর পরে স্থানীয়দের দাবি পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে তাঁদের। যদিও মৃত্যুর কারণ জানায়নি উত্তরপ্রদেশ পুলিশ (UP Police)।

জানা গিয়েছে তাঁদের নাম নৌমান, বিলাল ও নইম। তবে পুলিশের দাবি পাথর হামলায় ৩০ পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন। অন্তত দশটি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এমনিতেই সম্ভলের মসজিদ নিয়ে শুরু হয়েছিল টানাপোড়েন। এবার মৃত্যুর ঘটনায় রাজনৈতিক নেতারাও এবার মাঠে নামলেন। সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদবের দাবি, এলাকায় শান্তি বজায় থাকুক। সেই সঙ্গে বিচার পাক সাধারণ মানুষ।