বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন: কড়া সমালোচনা আমেরিকা ইংল্যান্ডের

তার পদক্ষেপ বর্তমানে শুধুমাত্র সংখ্যালঘু (minority) নয় গোটা বাংলাদেশের (Bangladesh) জন্য ভয়ংকর হয়ে দাঁড়িয়েছে

বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর অত্যাচার ও খুনের ঘটনা, সেই সঙ্গে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের (Chinmay Krishna Das) গ্রেফতারির তীব্র প্রতিবাদ আমেরিকা ও ইংল্যান্ডে। এবার প্রশাসনের দিক থেকেও এই প্রতিবাদ শোনা গেল। একদিকে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে (British parliament) উঠল বাংলাদেশে সংখ্যালঘু (minority) নির্যাতনের ইস্যু। অন্যদিকে নিন্দা আমেরিকার (USA) আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষা কমিশনের প্রাক্তন কমিশনারের।

ব্রিটিশ পার্লামেন্টে কন্সারভেটিভ দলের (Conservative party) সাংসদ বব ব্ল্যাকম্যান উত্থাপন করেন বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতন ইস্যু। তিনি স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দেন বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠার পর ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর এভাবে নির্যাতন কোনভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। সেই সঙ্গে সওয়াল করেন গোটা বিশ্বে ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষার। সম্প্রতি ধর্মীয় ইস্যুতে আগুন জ্বলেছে ব্রিটেনেও (United Kingdom)। সাধারণ সামাজিক অপরাধকে ধর্মীয় রং দেওয়া হয়েছে হিংসার ঘটনায়। তারপর থেকেই ধর্মীয় ইসুগুলিকে স্পর্শকাতর ইস্যু হিসেবে দেখে কিয়ের স্টার্মার প্রশাসন।

অন্যদিকে ইউনুস সরকারের অবস্থান নিয়ে আগেও সমালোচনা করেছেন রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trunp)। ওয়াশিংটনের ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের ঘটনা যে হালকাভাবে নেবেন না ট্রাম্প, তার ইঙ্গিত দিয়েছেন ইউনাইটেড স্টেট কমিশন অন ইন্টারন্যাশানাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম-এর প্রাক্তন কমিশনার জনি মুর (Johnny Moore)। তাঁর দাবি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান পদে আসার পর মহম্মদ ইউনুস (Mohammed Yunus) প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন গণতন্ত্র আইনের শাসন এবং পশ্চিম তথা আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলির সমস্ত নীতিকে প্রতিষ্ঠা করার। কিন্তু তার পদক্ষেপ বর্তমানে শুধুমাত্র সংখ্যালঘু (minority) নয় গোটা বাংলাদেশের (Bangladesh) জন্য ভয়ংকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই সঙ্গে মানবাধিকার ও ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষার দাবির জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির প্রতিনিয়ত সরব হওয়ার দাবি করেন।