মঙ্গলের সকালেও এসএসসি অফিস ঘেরাও চাকরিহারাদের, বিক্ষোভে শামিল ‘বহিরাগতরা’ও!

সোমবার রাতের পর মঙ্গলের সকালেও একই ছবি।এসএসসি (School Service Commission) চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারের পাশাপাশি কমিশনের অন্য কর্মী এবং আধিকারিকেরাও আটকে রয়েছেন আচার্য সদনে। সকালে কমিশনে চা প্রবেশেও বাধা দেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা। সূত্রের খবর, আচার্য সদনের ভিতরে ১২ জন পুরুষ কর্মী এবং চার জন মহিলা কর্মী আটকে রয়েছেন। যোগ্য-অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ নিয়ে এসএসসি (SSC ) যে আইনি পথেই হাঁটবে তা আগেই জানান হয়েছিল। সোমবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) নিজেও সেই বার্তা দিয়েছেন। কিন্তু স্কুলে ফিরে যাওয়ার পরিবর্তে চাকরিহারারা ঘেরাও করে রেখেছে এসএসসি (SSC) ভবন। শুধু তাই নয় চাকরিহারা শিক্ষকদের একাংশের পাশাপাশি আন্দোলনের নামে বিক্ষোভে যুক্ত হয়েছেন বহিরাগতরাও, দাবি এসএসসির। মঙ্গলবার সকালে আচার্য সদনের ভিতরে আটকে থাকা কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার (Siddhartha Majumder) বলেন, “বর্তমানে এই আন্দোলনে শুধু শিক্ষকেরা নেই। বাইরে থেকে আসা বহু আন্দোলনকারীও এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন।”

যোগ্য -অযোগ্য তালিকা প্রকাশ নিয়ে সোমবার দিনভর আইনি পরামর্শ নেয় এসএসসি ও শিক্ষা দফতর। দীর্ঘ বৈঠকের পর এসএসসির চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার একটি প্রেস বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ২০১৬ সালের শিক্ষকদের নিয়োগের বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ মেনেই চলা হবে। পাশাপাশি এও স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়, যাঁরা কাজ করেছেন (শিক্ষকতা), তাঁরা নিয়ম অনুযায়ী বেতন পাবেন। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু কমিশন বিবৃতি দেওয়ার পর রাতের দিকে সংবাদমাধ্যমে জানান, “যাঁরা বঞ্চিত শিক্ষক সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশমতো তাঁদের মাইনে পাওয়া নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। তাই এই আন্দোলনেরও কোনও মানে নেই। আর যাঁরা ওখানে আছেন (এসএসসি দফতরের সামনে বিক্ষোভকারী চাকরিহারারা), তাঁদের অনেকেই হয়তো অযোগ্য। তাঁদের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্ট কোনও গাইডলাইন না দিলে তো আমরা কিছু বলতে পারি না। আমরা দ্রুত রিভিউ পিটিশনের জন্য যাচ্ছি। সুপ্রিম কোর্টই আমাদের গাইডলাইন দিয়ে দেবেন। আমরা যে ভাবে এগোচ্ছি, তাঁদের আস্থা রাখা উচিত। এ বার আস্থা রাখবেন কি রাখবেন না, সেটা তাঁদের ব্যাপার।’’ যদিও চাকরি হারাটা শিক্ষা মন্ত্রীর কথা অমান্য করে সারারাত এসএসসি অফিস ঘেরাও করে রাখেন। চেয়ারম্যানের খাবার ও ওষুধ বলপূর্বক আটকে দেন। এছাড়াও মহিলা কর্মচারীদের হেনস্থা করা হয়েছে বলেও কমিশনের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে।