আজ মেদিনীপুরে পূর্ব ভারতের সর্ববৃহৎ সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী 

পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনিতে শিল্প সূচনার পর এবার মঙ্গলবার মেদিনীপুর কলেজ মাঠে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী (CM of WB)।আজ গোয়ালতোড়ে পূর্ব ভারতের সর্ববৃহৎ সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র-সহ (Solar power plant) একাধিক নতুন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। উপস্থিত থাকবেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, মুখ্য সচিব মনোজ পন্থ-সহ অন্যান্যরা। ৪৩০ একর জমির উপর গড়ে উঠেছে এই সোলার প্ল্যান্ট। বর্তমানে এর শক্তির উৎপাদন ক্ষমতা ১১২.৫ মেগাওয়াট। এই প্রকল্পে খরচ হয়েছে ৭৫০ কোটি টাকা।

বাংলার বুকে নতুন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ঘোষণা থেকেই শালবনি এবং পার্শ্ববর্তী প্রায় ৩০টি গ্রামের মানুষ আশার আলো দেখতে শুরু করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘পূর্ব ভারতে এত বড় প্রকল্প আগে হয়নি। সব মিলিয়ে প্রায় à§§à§« হাজার মানুষ কাজ পাবেন। আরও বিদ্যুৎ প্রকল্প হচ্ছে। বাংলার এটা ঐতিহাসিক প্রকল্প। শালবনির তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে এই রাজ্যের ২৩ জেলাই উপকৃত হবে। à§§à§« হাজার মানুষজনের কর্মসংস্থান হবে।’ বিরোধীদের একহাত নিয়ে মমতা বলেন যারা কথায় কথায় বাংলায় শিল্প হয় না বলে কুৎসা করেন তাঁরা এই প্রকল্প দেখে বুঝতে পারবেন বাংলায় কীভাবে আর কতটা কাজ হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়,‘‘আমার সমালোচনা করতে পারেন, কিন্তু আমায় উপেক্ষা করতে পারবেন না।’’ আজ গোয়ালতোড়ে মুখ্যমন্ত্রী যে সোলার প্ল্যান্টের উদ্বোধন করবেন, তার মাধ্যমেও বহু মানুষের বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ নিয়ন্ত্রিত হবে, জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরতা কমবে। এই শক্তি উৎপাদনে যেহেতু জলের ব্যবহার কম হবে, ফলে জল অপচয় আটকানো যাবে এবং কার্বন নিঃসরণও কমবে। পরিবেশের কথা ভেবে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির ব্যবহার বাড়ানোর জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের (Govt of WB)একটি অন্যতম উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ এই সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। দ্বিতীয় পর্যায়ে, সংলগ্ন জমিতে ১০০ মেগাওয়াট (এসি) সোলার পার্ক সম্প্রসারণ করার ভাবনাও রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের।