বাংলাদেশ ইস্যু: সংসদে কেন্দ্রের জবাব দাবি সুদীপের, ধর্মের রাজনীতি জগন্নাথের

কেন্দ্রের নীরবতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। কলকাতা উত্তরের সাংসদ দাবি করেন, বিদেশ মন্ত্রক (MEA) যেন লোকসভায় নিয়ে দ্রুত বিবৃতি দেয়

বাংলাদেশ সমস্যায় ভারতের প্রত্যক্ষ যোগ না থাকলেও সেখানে আটকে পড়া ভারতীয় নাগরিক ও সেই দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত হামলার ঘটনায় অনেক ক্ষেত্রেই আক্রান্ত ভারতীয়রা। এরপরেও নীরব কেন্দ্রের সরকার (Central Government)। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নিরাপত্তা নিয়ে ভারতের উদ্বেগ-চিঠি ছাড়া এখনও কোনও সদর্থক পদক্ষেপ দেখা যায়নি। মঙ্গলবার সংসদে কেন্দ্রের জবাব তলব করলেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (Sudip Banerjee)। যদিও রাজ্যের বিজেপি নেতারা যে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের উপর হামলাকে নিজেদের ভোট ব্যাঙ্ক হিসাবে ব্যবহার করছে, তার নজির লোকসভায় রাখলেন বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার (Jagannath Sarkar)। বাংলাদেশ ইস্যুতে বলতে গিয়ে বাংলার সংখ্যালঘুদের প্রসঙ্গ তুলতে স্পিকার ওম বিড়লাই (Speaker Om Birla) বাধ্য হন বিজেপি সাংসদকে চুপ করিয়ে দিতে।

বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সোমবারই বিধানসভায় (Bidhansabha) দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তাঁরই বার্তা মঙ্গলবার লোকসভায় বহন করেন লোকসভার দলনেতা সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Sudip Banerjee)। তিনি দাবি করেন, কেন্দ্রের সরকার যেন রাষ্ট্রসঙ্ঘের (United Nations) কাছে আবেদন করে যাতে তাঁরা বাংলাদেশে শান্তি ফেরাতে শান্তি রক্ষা বাহিনী (peace keeping force) পাঠায়। সেই সঙ্গে কেন্দ্রের নীরবতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। কলকাতা উত্তরের সাংসদ দাবি করেন, বিদেশ মন্ত্রক (MEA) যেন লোকসভায় নিয়ে দ্রুত বিবৃতি দেয়।

অথচ এই ইস্যুতে কতটা নেতিবাচক ভূমিকা নিচ্ছেন রাজ্যের বিজেপি নেতারা, তার নজিরও মঙ্গলবার লোকসভা (Loksabha) দেখল। বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় (Jagannath Chatterjee) বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিয়ে বলতে গিয়ে অনুপ্রবেশ ইস্যুতে চলে যান। সীমান্তে বিএসএফের নজরদারি এড়িয়ে বাংলাদেশের নাগরিকদের অনুপ্রবেশে বাংলার জলসাম্য ও ভারসাম্য নষ্টের দাবি করেন। যদিও তিনি রাজ্যের নাম নিয়ে বক্তব্য পেশ শুরু করতেই তাঁকে থামিয়ে দেন স্পিকার ওম বিড়লা (Speaker Om Birla)। যদিও রাজ্যের শাসকদলের দাবি, কেন্দ্রের নীরবতাতেই রাজ্যের বিজেপি নেতারা বাংলাদেশ ইস্যুতে রাজ্যে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে পারছে। রাজ্য় সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের দাবি, “কেন্দ্র সরকার নীরব হয়ে বসে থেকে বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মার খাওয়া ভোটের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করছে। বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের মার খাওয়াকে বাংলার বিজেপি নেতারা ভোটের হাতিয়ার করছেন।”