Thursday, August 21, 2025

কোথায় গেল ৫৬ ইঞ্চি: মোদিকে ঢাকা যাওয়ার কড়া বার্তা রাজ্যের শাসকদলের

Date:

বাংলাদেশে আক্রান্ত সংখ্যালঘুরা। বারবার নিজেদের ভারতের সেই সম্প্রদায়ের সব থেকে বড় রক্ষক হিসাবে দাবি করা নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi), অমিত শাহকে (Amit Shah) কড়া বার্তা রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের। যে পরিস্থিতিতে প্রতিবেশী দেশে সাধারণ মানুষের প্রতিরক্ষা বিপন্ন, সেখানে একের পর এক দেশ ঘুরে বেড়ালেও বাংলাদেশ (Bangladesh) যাওয়ার কোনও পরিকল্পনা নিচ্ছেন না মোদি। এমনকি তাঁর মন্ত্রী বা সচিবরাও সেখানে যাচ্ছেন না কেন, প্রশ্ন তোলেন রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। সেই সঙ্গে কেন্দ্রের সরকারের এই নীরবতাকে রহস্যজনক বলে দাবি করেন তিনি।

শুধুই নিজেদের দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের উপর অত্যাচার নয়, এবার ভারতের বিরুদ্ধে কুকথার রাজনীতিও শুরু করেছে বাংলাদেশ। সরকারি আধিকারিক ও দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা ভারত বিরোধী বার্তা প্রকাশ্যে দিচ্ছেন। তারপরেও ভারতের পক্ষ থেকে কোনও ধরনের বিবৃতিও প্রকাশ করা হচ্ছে না। এই অবস্থানের তীব্র নিন্দা করা হয় রাজ্যের শাসকদলের তরফে। কুণাল ঘোষের দাবি, “বাংলাদেশ এই সাহস পাচ্ছে কী করে? কোথায় গেল ৫৬ ইঞ্চি? ৫৬ ইঞ্চি মনিপুর থামাতে পারে না, তাহলে বাংলাদেশ কীভাবে থামাবে। বাংলাদেশে চোখ রাঙাচ্ছে, হিন্দুদের মারছে। কেন পদক্ষেপ নিচ্ছে না কেন্দ্র সরকার? বাংলাদেশ কথায় কথায় বিবৃতি দিয়ে ভয় দেখাচ্ছে। এমন পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে আইনজীবীরা দাঁড়াতে পারছেন না। এটা থামানোর দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকারের। নরেন্দ্র মোদির বিবৃতি কই?”

নরেন্দ্র মোদি গোটা বাংলাদেশ ইস্যুতে বিদেশমন্ত্রককে (MEA) দিয়ে দুটি বিবৃতি দিয়ে দায় সেরেছেন। অথচ কথায় কথায় যে মোদি প্রতিটি নির্বাচনের আগে পাকিস্তানকে ইস্যু করে ভোট ব্যাঙ্কের জন্য ঝাঁপান, সেই মোদি বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের জন্য নীরব। কুণালের দাবি, “সারা পৃথিবী ঘুরছেন কেন, যান বাংলাদেশে গিয়ে ল্যান্ড করুন মোদি। যদি বাংলাদেশে (Bangladesh) আক্রান্তদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিতে হয় যান ঢাকায় (Dhaka) গিয়ে নামুন। আচমকা পাকিস্তানে নেমে পড়তে পারেন, চমক দিতে পারেন। অথচ কেন আপনার মন্ত্রীরা, সচিবরা যাচ্ছেন না বাংলাদেশে (Bangladesh)”, প্রশ্ন কুণালের।

যদিও বাংলাদেশের অশান্ত পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের মোদি সরকারের নীরবতার পিছনে অন্য অভিসন্ধি দেখছে রাজ্যের শাসকদল। তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (Sudip Banerjee)। তিনি মঙ্গলবার সংসদে কেন্দ্রের সরকারের বিবৃতি দাবি করেন। বুধবারও কেন্দ্রের নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, “আমাদের দেশের রাষ্ট্রদূতকে ওরা তলব করছে। এখানে কেন্দ্রের সরকারের অবস্থান জানানো প্রয়োজন। এর সঙ্গে বাংলার স্বার্থ জড়িত। কারণ ওখানকার মানুষ যদি সীমান্ত পার করে চলে আসেন, তাঁদের এখানে আশ্রয় দেওয়ার কথা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন আমরা একটা রুটি দুজনে ভাগ করে খাবো। কিন্তু তাঁরা এত বেশি সংখ্যায় এসেছেন যে তাঁদের শরণার্থী বলা হয়। সেই পরিস্থিতি যেন সৃষ্টি না হয়।” এই প্রশ্ন তোলার পরেও কেন্দ্রের নীরবতা রহস্যজনক বলে দাবি করেন কুণাল ঘোষ। তাঁর দাবি, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের আবেগকে ভারতের ভোটের মার্কেটিং-এ ব্যবহার করতে চাইছে বিজেপি।

 

Related articles

যোগীরাজ্যের পাঠ্যপুস্তকে বাদ কেন রবীন্দ্রনাথকে? সাংসদ ঋতব্রতর প্রশ্নে অস্বস্তিতে কেন্দ্র

উত্তরপ্রদেশের দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে কি বাদ দেওয়া হয়েছে? তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্নে স্পষ্টতই...

প্রয়াত সিপিএম নেতা-প্রাক্তন মন্ত্রী দীনেশচন্দ্র ডাকুয়া

প্রয়াত সিপিএমের বর্ষীয়ান নেতা দীনেশচন্দ্র ডাকুয়া। বুধবার এনআরএস হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর।...

উপাচার্য নিয়োগের ইন্টারভিউয়ে ডাক মেলেনি! শীর্ষ আদালতে শান্তা দত্ত 

স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের ইন্টারভিউ পর্বে ডাক পাননি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য শান্তা দত্ত। যোগ্য হয়েও তাঁকে সুযোগ দেওয়া...

১৫ দিনেই রেকর্ড সাফল্য! রাজ্যে সাড়া ফেলল ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচি

মাত্র পনেরো দিনেই নজির গড়ল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন কর্মসূচি, ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’। রাজ্যের মানুষের হাতে উন্নয়নের...
Exit mobile version