মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই পানীয় জলের অপব্যবহার রুখতে ব্যবস্থা জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের

একাধিক ইঞ্জিনিয়রের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও জানান তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর সেই নির্দেশের পরই সক্রিয় হয়ে মাঠে নেমেছে জনস্বাস্থ্য কারিগরি (PHE) দফতর

পানীয় জলের অপচয় এবং অপব্যবহার নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের প্রেক্ষিতে তৎপর হল রাজ্যের জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর (PHE Department)। বুধবার বিধানসভায় বিভাগীয় মন্ত্রী পুলক রায় (Pulak Roy) জানান, বেআইনি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পাশাপাশি অপব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। পানীয় জলের বেআইনি ব্যবহার নিয়ে ইতিমধ্যে ৪০০-র বেশি এফআইআর (FIR) করা হয়েছে। পাশাপাশি অভিযোগ জানানোর জন্য দু’টি ফোন নম্বরও দেওয়া হয়েছে। বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি জানান, জল অপচয় বন্ধ করতে সরকার সচেষ্ট। মুখ্যমন্ত্রী নিজে প্রতিনিয়ত এ বিষয়ে নজর রাখছেন। অনেকে পানীয় জলকে ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহার করে অপচয় করছে। তাঁদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী জানান, এদিন সকাল পর্যন্ত এ জাতীয় ২০ হাজার অভিযোগ জমা পড়েছে। ১৯৯৬২টি অভিযোগ খতিয়ে দেখে ৪০৭টি এফআইআর করা হয়েছে। জল অপচয় নিয়ে অভিযোগ জানাতে দু’টি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর চালু করার কথাও তিনি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ৮৯০২০৫২২২২২ এবং ৮৯০২০৬৬৬৬৬ নম্বরে অভিযোগ জানানো যাবে।

সোমবার বিধানসভায় জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর (PHE Department) নিয়ে বৈঠক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেই বৈঠকে দফতরের একাধিক কর্মীদের ঢিলেঢালা আচরণ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। কাজে গাফিলতির অভিযোগে একাধিক ঠিকাদার, একাধিক ইঞ্জিনিয়রের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও জানান তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর সেই নির্দেশের পরই সক্রিয় হয়ে মাঠে নেমেছে জনস্বাস্থ্য কারিগরি (PHE) দফতর।

এদিন বিধানসভায় দলের বিধায়ক সমীরকুমার জানার প্রশ্নের উত্তরে জনস্বাস্থ্য কারিগরি মন্ত্রী বলেন, ২০২৪-এর ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত জলজীবন মিশন প্রকল্পে মোট ১ কোটি ৭৫ লক্ষ পরিবারের মধ্যে ৯২.৯৭ লক্ষ বাড়িতে নলবাহিত পানীয় জল সংযোগের ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাজ্যের গ্রামীণ এলাকায় অবস্থিত সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্র, গ্রাম পঞ্চায়েত ভবন, সর্বসাধারণের ব্যাবহৃত শৌচালয়কে এই প্রকল্পের আওতাভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও তিনি আরও জানান, পানীয় জলের গুনমান রক্ষা ও সুনিশ্চিত করণের জন্য রাজ্যের ২১৭টি ল্যাবরেটরির মধ্যে ২১৬টি ল্যাবরেটরি এনএবিএল-এর স্বীকৃতি বা শংসাসাপত্র পেয়েছে।