মার্শাল ল-তে পালাবদল দক্ষিণ কোরিয়ায়! রাষ্ট্রপতি ইউনের গ্রেফতারির দাবিতে পথে দেশবাসী

উত্তর কোরিয়ার (North Korea) আগ্রাসী মনোভাবের থেকে দক্ষিণ কোরিয়াকে (South Korea) রক্ষা করার জন্য রাতারাতি মার্শাল ল (Marshall Law) জারি

গোটা বিশ্বে গণতন্ত্রের অন্যতম প্রতিষ্ঠান হিসেবে উঠে আসা দক্ষিণ কোরিয়ায় (South Korea) রাতারাতি গণতন্ত্রের উপর শঙ্কা। গভীর রাতে মার্শাল ল (Marshall Law) জারি করলেন রাষ্ট্রপতি ইউন সাক ইওল (Yoon Suk Yeol)। নাগরিক প্রতিবাদের জিরে তা প্রত্যাহার করে নিতেও বাধ্য হলেন। এরপরই বুধবার সংসদে অনাস্থা প্রস্তাব আনে বিরোধীদল।

মার্শাল ল জারির পিছনে উত্তর কোরিয়াকে দায়ী করেন রাষ্ট্রপতি ইউন (Yook Suk Yeol) । উত্তর কোরিয়ার (North Korea) আগ্রাসী মনোভাবের থেকে দক্ষিণ কোরিয়াকে (South Korea) রক্ষা করার জন্য রাতারাতি মার্শাল ল (Marshall Law) জারি করার নির্দেশ দেন তিনি। এরপরই সিল করে দেওয়া হয় ন্যাশানাল অ্যাসেম্বলি (NAtional Assembly)। অ্যাসেম্বলি চত্বর ঘিরে নেয় সেনাবাহিনী। বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে সাধারণ মানুষ। এই পরিস্থিতিতে জরুরি বৈঠক ডাকে সরকার পক্ষ।

প্রধানমন্ত্রী হান ডাক-সু-এর (Han Duck-soo) কাছেও রাষ্ট্রপতির এই মার্শাল ল জারি অনভিপ্রেত ছিল। তবে জরুরি আধিকারিকদের বৈঠক ও সাধারণ জনগণের বিক্ষোভের জেরে রাতারাতি মার্শাল ল প্রত্যাহার করে নেন রাষ্ট্রপতি ইউন। আমেরিকা, ইংল্যান্ড ও জাপান ইউনের এই সিদ্ধান্তকে সম্পূর্ণ অনভিপ্রেত ও গণতন্ত্রের পক্ষে আশঙ্কাজনক বলে দাবি করে।

তবে সকালের আলো ফুটতেই পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে যায়। মার্শাল ল জারির বিরোধিতায় হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ শুরু করেন রাজধানী সিওলের (Seol) পথে। প্রধান বিরোধী দলের সাংসদ জুন কিম দাবি করেন মার্শাল ল জারির গুঞ্জন শোনা গেলেও মঙ্গলবার রাতের ঘোষণা একেবারেই বিস্ময়কর। বুধবার সকালে বিরোধী দলের তরফ থেকে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়। ফলে প্রশ্নের মুখে প্রধানমন্ত্রী হানের সরকার। তবে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বিরোধীদের দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে।