কেন্দ্রীয় অবহেলায় বেহাল বিশ্ববাংলা ক্রীড়াঙ্গন! চুক্তিভঙ্গের হুঁশিয়ারি মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের

এত বড় পরিকাঠামো পেয়েও সাই (SAI) তা কোনওভাবেই কাজে লাগায়নি। এই বিশ্ববাংলা ক্রীড়াঙ্গনে (Biswa Bangla Krirangan) ৭টি বিভাগের সূচনা করার কথা ছিল

জলপাইগুড়িতে বিশ্ববাংলা ক্রীড়াঙ্গনের (Biswa Bangla Krirangan) বেহাল দশা নিয়ে এবার কেন্দ্রের দিকে সরাসরি আঙুল তুললেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস (Aroop Biswas)। স্পোর্টস অথোরিটি অফ ইন্ডিয়ার (সাই) (SAI) হাতে তুলে দেওয়া ক্রীড়াঙ্গন অবহেলায় অনাদরে আগাছার স্তূপে পরিণত হয়েছে। অবিলম্বে প্রশিক্ষণ শুরু না হলে চুক্তি ছেড়ে বেরিয়ে আসার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি তিনি।

ফুটবল থেকে তিরন্দাজি, অ্যাথলেটিক্স থেকে বাস্কেটবল, বিশাল ক্রীড়াঙ্গনে থাকবে সমস্ত ধরনের খেলার সুযোগ, উন্নত প্রশিক্ষণ পেয়ে তৈরি হবে দক্ষ ক্রীড়াবিদ— এমনই আশায় জলপাইগুড়িতে (Jalpaiguri) তৈরি হয়েছিল বিশ্ব বাংলা ক্রীড়াঙ্গন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) স্বপ্নের এই প্রকল্প কেন্দ্রের বঞ্চনায় এখন আগাছায় ভরা। ফুটবল মাঠের গোলপোস্টে গজিয়ে উঠেছে বড় বড় ঘাস।

বুধবার বিধানসভায় প্রশ্নোত্তরপর্বে বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের (Shankar Ghosh) প্রশ্নের উত্তরে ক্রীড়ামন্ত্রী জানান, দক্ষ ক্রীড়াবিদ তৈরির উদ্দেশে ১১০ কোটি টাকা দিয়ে রাজ্য সরকার ওই বিশ্বমানের স্টেডিয়াম (world class stadium) তৈরি করেছিল। ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে মউ (MoU) সই করে এই ক্রীড়াঙ্গন সাই-এর হাতে তুলে দেওয়া হয়। ক্রীড়ামন্ত্রীর অভিযোগ, এত বড় পরিকাঠামো পেয়েও সাই (SAI) তা কোনওভাবেই কাজে লাগায়নি। এই বিশ্ববাংলা ক্রীড়াঙ্গনে (Biswa Bangla Krirangan) ৭টি বিভাগের সূচনা করার কথা ছিল। অথচ এখন সেখানে গরু চড়ছে। এ বিষয়ে চার কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রীকে জানালেও আজ অবধি কিছু হয়নি। বিধায়কদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে অরূপ বিশ্বাস জানান, রাজ্য সরকার পুরুলিয়ায় ৬টি, উত্তর ২৪ পরগনায় ১টি হকি স্টেডিয়াম, সল্টলেক স্টেডিয়াম-সহ ১৮টি নতুন স্টেডিয়াম গড়ে তোলা হয়েছে। ২৭টি স্টেডিয়াম সংস্কার করা হয়েছে। মোট ৫৮টি স্টেডিয়াম গড়ে তুলেছেন তাঁরা। বারাসতে আন্তজার্তিকমানের স্টেডিয়াম গড়ে তোলা হয়েছে। এছাড়াও ৪২৪টি খেলার মাঠ তৈরি করা হয়েছে।

জলপাইগুড়ির বিশ্ব বাংলা স্টেডিয়াম প্রসঙ্গে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, এর আগে বিধানসভায় বিধায়ক অশোক দিন্দা বলেছিলেন কেন্দ্রীয় সরকার এ বাবদ ৫০ কোটি টাকা দিয়েছে।এটা সর্বৈব মিথ্যা। এ বিষয়ে মাননীয় সদস্যকে নথি জমা দেওয়ার কথা বলা হলেও, আজও জমা দেননি। বিধানসভায় ভুল তথ্য দেওয়ার জন্য ওই বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যাবস্থা নেওয়ার জন্য ক্রীড়ামন্ত্রী আবেদন জানান। যদিও অশোক দিন্দার পাল্টা দাবি নিজের বক্তব্যের স্বপক্ষে লিখিত নথি তিনি বিধানসভায় জমা দিয়েছেন।