বিদেশ-সচিব দৌত্যে আশাবাদী: ওপারে শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান এপারের মুখ্যমন্ত্রীর

বিদেশ সচিব (foreign secretary) গিয়েছেন। ওরা সিদ্ধান্ত নিক। আশা করি তাঁর দৌত্য সফল হোক। বাংলাদেশের ব্যাপারে আমাদের নীতি আমরা বিদেশনীতি মেনে চলব

ভারত-বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক সফল হবে, আশাবাদী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বাংলাদেশে যেভাবে সংখ্যালঘুরা আক্রান্ত হচ্ছে তা নিয়ে কেন্দ্রের সরকারের সদর্থক পদক্ষেপের ফের দাবি জানান তিনি বিধানসভা (West Bengal Assembly) থেকে। তবে ভারতের নীরবতার সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলি যে বিদ্বেষমূলক বার্তা ছড়াচ্ছে তা নিয়েও সতর্ক করেন তিনি। তাঁর স্পষ্ট বার্তা ভারতের ধৈর্যকে ভারতের দুর্বলতা বলে মনে করা ভুল হবে বাংলাদেশের (Bangladesh)।

এর আগেও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister of West Bengal) বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর হামলার তীব্র নিন্দা করে কেন্দ্রের সরকারকে দ্রুত ও কার্যকর ভূমিকা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন। ফের একবার সোমবার বিধানসভা থেকে প্রতিবেশী দেশে হিংসার নিন্দা করেন তিনি। সেই সঙ্গে এপার বাংলার সম্প্রীতির পরিবেশ রক্ষার আবেদনও জানান। বিধানসভায় নিজের বিবৃতিতে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কোনও সম্প্রদায় নয়, দাঙ্গা করে সমাজবিরোধীরা। এ রাজ্যে হিন্দু-মুসলমান দুই সম্প্রদায়ের মানুষ যেভাবে একই সুরে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নিপীড়নের প্রতিবাদে সরব হয়েছেন সেজন্য মুখ্যমন্ত্রী তাদের কৃতজ্ঞতা জানান। পাশাপাশি রাজ্যে সম্প্রীতির পরিবেশ যাতে অক্ষুন্ন থাকে সকলকে মন্তব্য করার সময় সতর্কতা অবলম্বন করার তিনি আর্জি জানিয়েছেন।

মুখ্যমন্ত্রী সতর্ক করেছেন সোশ্যাল মিডিয়া ও রাজনৈতিক দলগুলির ভূমিকা নিয়েও। তিনি বলেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ভুয়ো তথ্য এবং ভিডিও (fake video) ছড়িয়ে পড়ছে। একটি রাজনৈতিক দল বাংলাদেশের পরিস্থিতিকে ব্যবহার করে এখানে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে তুলতে চাইছে। তাদের মনে রাখতে হবে এ ধরনের আচরণে এ রাজ্যের যেরকম ক্ষতি হবে, তেমনি প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সংখ্যালঘু নাগরিকেরা আরো সমস্যায় পড়বেন। একই সঙ্গে জানিয়েছেন ওপার থেকে আসা নিপীড়িত মানুষকে আশ্রয় দেয়ার ব্যাপারে প্রস্তুত। তিনি স্পষ্ট বলেন, আমরা কোনও পক্ষে নেই। আমরা সব পক্ষে। বিদেশ সচিব (foreign secretary) গিয়েছেন। ওরা সিদ্ধান্ত নিক। আশা করি তাঁর দৌত্য সফল হোক। বাংলাদেশের ব্যাপারে আমাদের নীতি আমরা বিদেশনীতি মেনে চলব।

ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভির (Ruhul Kabir Rizvi) বাংলা-বিহার-উড়িষ্যা দখলের মতো হিংসাত্মক বার্তারও কড়া জবাব দেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর বার্তা,  এরকম কোন ঘটনা ঘটলে এদেশের মানুষ চুপ করে বসে থাকবে এটা মনে করার কোন কারণ নেই। যাঁরা বলছেন বাংলা-বিহার-ওড়িশা দখল করবেন, তাঁরা ভালো থাকবেন। আপনার সেই ক্ষমতাও নেই, আর ভাববার কোনও কারণ নেই যে আমরা বসে ললিপপ (lollipop) খাব। আমরা যথেষ্ট সক্রিয় এবং যথেষ্ট ধৈর্যের পরীক্ষা দিই। আমরা সবাই সবাইকে রক্ষা করব।