উত্তরবঙ্গের তিন জেলায় ৯০০ কোটি টাকার বিনিয়োগের প্রস্তাব

আরও ৮,৬০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

উত্তরবঙ্গের তিন জেলায় ৯০০ কোটি টাকার বিনিয়োগের প্রস্তাব।কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলায় শিল্পোন্নয়নের জন্য এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সোমবার রাজ্যের ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প দফতরের উদ্যোগে ডুয়ার্সের বাতাবাড়িতে রাজ্য পর্যটন দফতরের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ‘সিনার্জি স্মল অ্যান্ড মিডিয়াম ইন্ডাস্ট্রিজ় কনফারেন্স’–এ এই লগ্নির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এর ফলে মোট ৭ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলে দফতরের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা জানিয়েছেন। কৃষি, হিমঘর, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, পাট, বস্ত্র, চা ও পর্যটন ক্ষেত্রে এই লগ্নি করা হবে বলে জানা গিয়েছে। এ ছাড়া এই তিন জেলায় আগামী বছরে ব্যাঙ্ক ঋণ, সরকারি অনুদান এবং শিল্পপতিদের বিনিয়োগের মাধ্যমে আরও ৮,৬০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

মন্ত্রী জানিয়েছেন, জলপাইগুড়ি জেলায় তিনটি শিল্প পার্ক হবে। এর মধ্যে ডাবগ্রাম পার্কের তৃতীয় পর্যায়ের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের দিকে। ৪৭ একর জমির উপর আমবাড়ি–ফালাকাটা পার্কের দ্বিতীয় পর্যায় ১৭ কোটি টাকায় তৈরি করা হচ্ছে। কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলায় আগামী বছরের মার্চের মধ্যে ৯০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে।

উত্তরবঙ্গের ব্যবসায়ীদের সংগঠন সংগঠন ‘ফোসিন’–এর কর্তা বিশ্বজিৎ দাস বলেন, শিল্প স্থাপনের জন্য নিয়ম আরও সহজ ও সরল হগওয়া উচিত।কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান স্মল টি গ্রোয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট বিজয় গোপাল চক্রবর্তী বলেন, ছোট চা ব্যবসায়ীদের একজোট হয়ে চা–কারখানা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে জেলা পরিষদ ও শিলিগুড়ি–জলপাইগুড়ি ডেভেলপমেন্ট অথরিটির কাছ থেকে জমির অনুমোদন পেতে অনেক সময় লাগে।এটা আরও সহজ করা দরকার।

গত অর্থবছরে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারের ছোট ও মাঝারি শিল্প সংস্থাগুলি যথাক্রমে ২,৫৪৬ কোটি, ৮২০ কোটি ও ১,৬৬৮ কোটি টাকার ব্যাঙ্ক ঋণ পেয়েছে। চলতি অর্থবছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই তিন জেলায় ছোট ও মাঝারি শিল্প সংস্থাগুলির পাওয়া ব্যাঙ্ক ঋণের পরিমাণ যথাক্রমে ২,০৫৯ কোটি, ৫৭৬ কোটি ও ১,১২৯ কোটি টাকা। এ ছাড়া রাজ্য সরকার ‘বাংলাশ্রী’ প্রকল্পে শিল্পের জন্য তিন জেলায় ২৬.৪৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।

রাজ্য সরকারের তরফে ‘সিনার্জি’তে উপস্থিত শিল্পোদ্যোগীদের সেনা ও রেলের চাহিদা অনুযায়ী সামগ্রী স্থানীয় ভাবে উৎপাদন করে সরবরাহ করার পরামর্শ দেওয়া হয়।বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উত্তরবঙ্গের পর্যটন শিল্পের প্রতিনিধিরাও।

3.
4.
5.
6.
7.
8.
9.
10.