কী কাণ্ড! ফ্যাশন শোয়ে দিল্লির র্যাম্পে হাঁটছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, অন্যদিকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বঙ্গ বিজেপিকে অযোগ্য বলে তোপ দাগছেন। এমনকি বঙ্গ বিজেপি নেতাদের হুমকি দেওয়া হয়েছে, অযোগ্যদের পরেরবার কে টিকিট দেয়, দেখব!

২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে বিজেপি (BJP) জানিয়েছিল, ভোটে ২০০ আসন লক্ষ্য। কিন্তু গেরুয়া শিবির জয়ী হয়েছিল মাত্র ৭৭ আসনে। তারপর অনেক বিধায়কই দল বদলে তৃণমূল কংগ্রেসে চলে গিয়েছেন। সেই বাংলা দখলের স্বপ্ন ভেঙে যাওয়া একেবারেই মেনে নিতে পারছেন না কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

দিল্লিতে বঙ্গ বিজেপি সাংসদদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন দলের অন্যতম কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক তথা পশ্চিমবঙ্গে দলের ভারপ্রাপ্ত সর্বভারতীয় নেতা সুনীল বনসল। সেখানেই তাঁর তোপের মুখে পড়তে হয়েছে শান্তনু ঠাকুর, জয়ন্ত রায়, সৌমিত্র খাঁয়ের মতো একাধিক সাংসদকে। কারণ অমিত শাহ ৩০ নভেম্বরের মধ্যে বঙ্গে এক কোটি সদস্য সংগ্রহের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই নির্দেশ পালনে ব্যর্থ বিজেপি।

আরও পড়ুন- প্রয়াত কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী! শোকস্তব্ধ দক্ষিণের রাজনৈতিক মহল
এদিকে শুক্রবার বিরোধী দলনেতা সহ বিজেপি বিধায়কদের দলের বাকিদের তুলোধনা করেন বনসল। তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘মেম্বারশিপ নিয়ে কোনও বিধায়ক কাজ করছে না। নিজের এলাকায় বিধায়কদের দেখা যায় না। এই সব অযোগ্যদের পরের বার কে টিকিট দেয়, দেখব!’ বিজেপির অন্দরে নেতাদের কাণ্ডকারখানা যে সাধারণ মানুষের হাসির খোরাক হচ্ছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

বনসল একহাত নেন আসানসোলের (দক্ষিণ) বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালকেও। বলেন, ‘আপনার বিধানসভায় সদস্য সংগ্রহের হাল ভীষণ খারাপ। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র ৩০ হাজার সসদ্য করার লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মাত্র ৩ হাজার সদস্য নথিভুক্ত হয়েছে।’ ঝাড়খণ্ডে প্রচারে ব্যস্ততার অজুহাত দেন অগ্নিমিত্রা। বনসল পালটা উত্তর দিয়ে জানান, ‘আমি যে তালিকা তৈরি করেছিলাম, তাতে আপনার নাম ছিল না। আপনাকে ঝাড়খণ্ডে কে পাঠিয়েছিল?’ এতে বিজেপির যে অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে তা আর বলার বাকি থাকে না। জানা গিয়েছে, মেম্বারশিপ নিয়ে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পদ্ম শিবিরের নেতাদের সময়সীমা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
