ওপারে মেয়ের নির্যাতনের কথা বলতে গিয়ে চোখের জলে ভাসলেন বৃদ্ধা

বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার গাজিপুর থানার যথাইসুদপুর গ্রামের বাসিন্দা ওই বৃদ্ধা।

বাংলাদেশের পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি।প্রতিনিয়ত অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে, সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের।এক বৃদ্ধার অভিযোগ, বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে পাশবিক নির্যাতন করে মেয়েকে খুন করেছে মৌলবাদীরা।এমনকী, দেহ উদ্ধারের পরেও সাহস করে সৎকারে এগিয়ে আসেনি কেউ।কাঁটাতার পেরিয়ে ভারতে ঢুকতে গিয়ে বিএসএফের হাতে ধরা পড়েন। চোখের জল বাধ মানতে চায় না। পদ্মাপারের নারকীয় অত্যাচারের কথা জানালেন বাংলাদেশের দিনাজপুরের গাজিপুরের বৃদ্ধা। ভেঙে পড়লেন কান্নায়।বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার গাজিপুর থানার যথাইসুদপুর গ্রামের বাসিন্দা ওই বৃদ্ধা।

বয়সের কারণে চোখে কম দেখেন। বুধবার রাতে কাঁটাতার পেরিয়ে বাংলার উত্তর দিনাজপুরে প্রবেশের সময় বিএসএফের হাতে ধরা পড়েন তিনি। এর পরই পদ্মাপারের নারকীয় অত্যাচারের কথা জানান বৃদ্ধা। জানান, তিনি পাঁচ কন্যা ও তিনপুত্রের মা। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সেপ্টেম্বরের এক সন্ধ্যায় বড় ছেলেকে অপহরণ করে মৌলবাদীরা। আর এক ছেলে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ঢাকার রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে।পাঁচ মেয়ের মধ্যে দুজন না খেতে পেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। ছোট মেয়ে মৌলবাদীদের লালসার শিকার।বৃদ্ধা জানান, কয়েকদিন আগে তার ছোট মেয়েকে অত্যাচারের পর বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পুলিশকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। উলটে সশস্ত্র বাহিনী রোজ তাকে হুমকি দিত বাড়ি ছাড়ার জন্য। একদিন ভোরে বাড়ি থেকে অনেকটা দূরে জঙ্গলে মেয়ের দেহ দেখতে পান।

এর পর বাড়ি থেকে বের করতে বৃদ্ধাকে মারধর করা হয়। তার পরই ভারতে মেয়ের শ্বশুরবাড়ি আসার সিদ্ধান্ত নেন বৃদ্ধা। রাতের অন্ধকারে কাঁটাতার পেরনোর সময় ধরা পড়েন বিএসএফের হাতে। বৃহস্পতিবার বৃদ্ধাকে রায়গঞ্জ জেলা আদালতে তোলা হয়। কিন্তু অসহায় বৃদ্ধাকে দেখতে পরিবারের কেউ আসেননি।