Saturday, August 23, 2025

বিজেপিশাসিত তিন রাজ্য অপুষ্টি সমস্যায় প্রথম পাঁচে, কেন্দ্রের রিপোর্টে সন্তোষজনক স্থানে পশ্চিমবঙ্গ

Date:

অপুষ্টির সমস্যা থেকে মুক্ত নয় ভারত। আর এই রোগে সবথেকে বেশি ভুগছে বিজেপিশসাসিত রাজ্যগুলিই। খোজ কেন্দ্রীয়মন্ত্রীর কথাতেই উঠে এসেছে বিজেপি-রাজ্যের এই ব্যর্থতার কথা। সম্প্রতি সংসদে যে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলিই অপুষ্টিতে (malnutrition) ভোগার তালিকায় শীর্ষে রয়েছে। প্রথম পাঁচটির মধ্যে তিনটিই বিজেপিশাসিত। সেক্ষেত্রে বাংলা রয়েছে অনেক নীচে।

শুক্রবার লোকসভায় (Loksabha) অপুষ্টি নিয়ে একটি রিপোর্ট পেশ করেন কেন্দ্রীয় নারী শিশু কল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Women and Child Development) প্রতিমন্ত্রী সাবিত্রী ঠাকুর। সেই রি্পোর্টেই উঠে আসে বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলির করুণ ছবি। নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রকের তরফে লিখিত বিবৃতি প্রকাশের পর যে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় সামনে আসে, তা হল কেন্দ্রের তালিকা অনুযায়ী প্রথম পাঁচে থাকা রাজ্যগুলির মধ্যে রয়েছে তিনটিই বিজেপিশাসিত রাজ্য। প্রথম স্থানেই রয়েছে ডাবল ইঞ্জিন রাজ্য মধ্যপ্রদেশ (Madhyapradesh)। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে আর এক ডাবল ইঞ্জিন রাজ্য বিহার (Bihar)। চতুর্থ স্থানে রয়েছে যোগীরা্জ্য উত্তরপ্রদেশ (Uttarpradesh)।

এক প্রশ্নের উত্তরের পরিপ্রেক্ষিতে নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী সাবিত্রী ঠাকুর গত অক্টোবর মাসের রাজ্যওয়াড়ি পরিসংখ্যান পেশ করেন। এই খতিয়ান অনুযায়ী, মধ্যপ্রদেশে ২৬.৫ শতাংশ পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত শিশু আন্ডারওয়েটের (under weight) শিকার। বিহারের ২২.৯ শতাংশ শিশু ভুগছে অপুষ্টি সমস্যায়। আর তৃতীয় স্থানে থাকা দিল্লিতে অপুষ্টির শিকার ২০.৬ শতাংশ। দিল্লির পর রয়েছে যোগীরাজ্য। বিজেপির অন্যতম পোস্টার বয় যোগী আদিত্যনাথের ‘সুশাসনে’ রাজ্যের ১৯.৪ শতাংশ শিশুই ভোগে অপুষ্টিতে ভুগছে। পঞ্চম স্থানে রয়েছে ঝাড়খণ্ড। এই রাজ্যে অপুষ্টিজনিত সমস্যা রয়েছে ১৯.৩ শতাংশ শিশুর।

কেন্দ্রের দেওয়া এই পরিসংখ্যানে পশ্চিমবঙ্গ রয়েছে অনেক নীচে। অর্থাৎ বিজেপিশাসিত রাজ্যের মতো অপুষ্টির রোগ পশ্চিমবঙ্গের নেই। কেন্দ্রের বঞ্চনা সত্ত্বেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বাংলা উন্নয়নের নিরিখে, সাধারণ মানুষের কাছে অন্ন-বস্ত্র পৌঁছে দিতে সমর্থ হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গে তাই অপুষ্টির হার মাত্র ১৩ শতাংশ। কিন্তু কেন বিজেপিশাসিত রাজ্য ডাবল ইঞ্জিনে চলা সত্ত্বেও এই রোগ থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি? তার উত্তর নেই কেন্দ্রের কাছে। যদিও সার্বিকভাবে দেশে অপুষ্টির শিকার পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের হার আগের তুলনায় কমছে বলে দাবি করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। জাতীয় পরিবার স্বাস্থ্য সমীক্ষার খতিয়ান তুলে ধরে জানানো হয়েছে, ২০০৫-২০০৬ সালে এনএফএইচএস অনুযায়ী সারা দেশে ৪২.৫ শতাংশ শিশু কম ওজনের শিকার ছিল। ২০১৫-১৬ সালে তা কমে দাঁড়ায় ৩৫.৮ শতাংশে। ২০১৯-২০২১ সালের স্বাস্থ্য সমীক্ষা বলছে, তা কমে হয়েছে ৩২.১ শতাংশ। নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রক জানিয়েছে, ‘মিশন পোষণ ২.০’ কর্মসূচির আওতাও রাজ্যগুলিকে পর্যাপ্ত অর্থবরাদ্দ করা হচ্ছে। আগামী কয়েক বছরে এই অপুষ্টির রোগ থেকে দেশ বেরিয়ে আসতে সমর্থ হবে বলেই আমাদের বিশ্বাস।

Related articles

সঠিক পরিকল্পনাই ডায়মন্ডহারবারের সাফল্যের চাবিকাঠি, মনে করছেন আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়

মাত্র তিন বছরের ক্লাব। কিন্তু কী অসাধারণ সাফল্য। কলকাতা লিগ, আইলিগ থ্রি থেকে আইলিগ টু জিতে এবার আইলিগের...

অসংগঠিত শ্রমিক-ক্ষেত্রে পথ দেখাচ্ছে বাংলা: সাহায্য পেলেন ৭২০ শ্রমিক

একের পর এক নতুন প্রকল্প, অসংগঠিত শ্রমিকদের দাবিদাওয়া নিয়ে লাগাতার আলোচনা, তাঁদের পরিবারের প্রতি নজর রাখার ব্যাপারে তৎপর...

প্রাপ্য চায় বাংলা, উপহার না: মোদিকে জবাব তৃণমূলের

বাংলার মানুষ উপহার চায় না, প্রাপ্য চায়। উপহার দিয়ে বাংলার মানুষকে অপমান করবেন না। বাংলায় বরাদ্দ নিয়ে শুক্রবার...

অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ব্যর্থ শাহ, শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা মোদির: কটাক্ষ তৃণমূলের

অনুপ্রবেশ ইস্যুকে বার বার জাগিয়ে তুলে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার আদতে নিজেদের ভুল নিজেরাই চোখ আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।...
Exit mobile version