Friday, August 22, 2025

নারীশক্তিতেই বাংলার লক্ষ্মীলাভ, রাজ্যের ৬২ শতাংশ ক্ষুদ্রশিল্পের চালিকাশক্তি মহিলারাই

Date:

Share post:

কথায় নয়, কাজে বিশ্বাসী বাংলা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নেতৃত্বে বাংলার নারীশক্তি তরতরিয়ে এগিয়ে চলেছে উত্তরণের পথে। রাজ্যের সিংহভাগ ক্ষুদ্রশিল্পের চালিকাশক্তি মহিলারাই। কেন্দ্রের রিপোর্ট বলছে, বাংলায় ৬২ শতাংশ ক্ষুদ্রশিল্পের মালিকানা রয়েছে মহিলাদের হাতে। তাঁরাই রাজ্যের অর্থনীতিতে বাংলার লক্ষ্মীলাভ ঘটাচ্ছে। বাংলার ক্ষুদ্রশিল্পে (small industry) মহিলাদের এই অন্তর্ভুক্তি দেশের গড়ের তুলনায় ১২ শতাংশ বেশি।

২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শুরু হবে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। তার আগে কেন্দ্রের রিপোর্টে চমকপ্রদ তথ্য সামনে এসেছে। যে রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে বাংলার প্রায় ৩০ লক্ষ ক্ষুদ্রশিল্পের (small industry) মালিক মহিলারা। যা দেশের আর অন্য কোনও রাজ্যে নেই। দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে নারীশক্তির (women power) ক্ষমতায়নে ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি দেখিয়েছেন, এই তথ্যই তার প্রমাণ।

প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister) তাঁর বক্তৃতায় যতই মহিলা স্বনির্ভর বা নারী ক্ষমতায়নের কথা বলুন না কেন, তা যে ফোঁপরা ঢেঁকি তা বারবার প্রমাণিত হয়ে যাচ্ছে। কেননা মোদিরাজ্য থেকে শুরু করে যোগীরাজ্য বা বিজেপির অন্যান্য পোস্টার-বয়দের রাজ্যও এই পরিসংখ্যানে বাংলার ধারেকাছে নেই। ডাবল ইঞ্জিন (double engine) রাজ্যগুলি ব্যর্থ মহিলাদের চালিকাশক্তিতে রূপান্তরিত করতে।

বাংলার শিল্প তথা নারী ও শিশুকল্যাণমন্ত্রী শশী পাঁজা (Shashi Panja) এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ কৃতিত্ব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee)। তাঁর কথায়, মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের মহিলাদের জন্য যুগান্তকারী সব পদক্ষেপ নিয়েছেন। নানান প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করে স্বনির্ভর করে তুলেছেন বাংলার লক্ষ্মীদের। তার ফলে আর্থসামাজিক ক্ষেত্রেও এসেছে বিরাট পরিবর্তন। ক্ষুদ্রশিল্প মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহাও সম্প্রতি রাজ্যের বিভিন্ন সিনার্জিতে অংশ নিয়ে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মহিলাদের স্বনির্ভরতায় যেসব উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছেন, তা অন্য রাজ্য ভাবতেও পারেনি। তাই আমরা আজ অগ্রগণ্য।

কেন্দ্রের উদ্যম পোর্টালে রেজিস্ট্রেশন হওয়া ক্ষুদ্র শিল্পের সংস্থার সংখ্যার উপর ভিত্তি করেই কেন্দ্র এই রিপোর্ট তৈরি করেছে। সেই রিপোর্টেই দেখা যাচ্ছে, সারা দেশে ২ কোটি ২০ লক্ষ ক্ষুদ্রশিল্পের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে মহিলাদের হাতে। তাতে সবার উপরে রয়েছে বালার নাম। সম্প্রতি নবান্ন সভাঘরে ষোড়শ অর্থ কমিশনের বৈঠকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে রাজ্যের মহিলারা প্রশংসিত হন তাঁদের উদ্যোগের জন্য।

spot_img

Related articles

অর্ডার ছাড়া বর্ডার ক্রস নয়, ওয়ার্নিং নুসরতের!

অঙ্কুশ হাজরার 'গোবিন্দ দাঁত মাজে না' আর কৌশানী মুখোপাধ্যায়ের 'ডাকাতিয়া বাঁশি'র পর থেকে উইন্ডোজের সিনেমায় আইটেম ডান্স বা...

সুপ্রিম রায়ে বদল: জোর পথকুকুরদের বন্ধ্যাত্বকরণ ও প্রতিষেধকে, রয়েছে ব্যতিক্রমও

দিল্লির পথকুকুরদের নিয়ে রায় বদল করল শীর্ষ আদালত। আগের রায়ে স্থগিতাদেশ দিয়ে শুক্রবার, সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) ৩...

শিল্পপতি স্বরাজ পলের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রীর

৯৪ বছর বয়সে প্রয়াত অনাবাসী শিল্পপতি তথা সমাজসেবক লর্ড স্বরাজ পল (Lord Swaraj Paul)। লন্ডনে থাকলেও দেশের প্রতি...

কৌশিকী অমাবস্যার বিশেষ মাহাত্ম্য! কেন ভাদ্রমাসেই এই পুজো হয়

আজ কৌশিকী অমাবস্যা (Kaushiki Amabasya)। ভাদ্র মাসের অমাবস্যায় এই পার্বণ অত্যন্ত পুণ্যদায়ী এবং পবিত্র৷ শুক্রবার সকাল ১১.৫৫ মিনিটে...