Thursday, November 6, 2025

নারীশক্তিতেই বাংলার লক্ষ্মীলাভ, রাজ্যের ৬২ শতাংশ ক্ষুদ্রশিল্পের চালিকাশক্তি মহিলারাই

Date:

কথায় নয়, কাজে বিশ্বাসী বাংলা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নেতৃত্বে বাংলার নারীশক্তি তরতরিয়ে এগিয়ে চলেছে উত্তরণের পথে। রাজ্যের সিংহভাগ ক্ষুদ্রশিল্পের চালিকাশক্তি মহিলারাই। কেন্দ্রের রিপোর্ট বলছে, বাংলায় ৬২ শতাংশ ক্ষুদ্রশিল্পের মালিকানা রয়েছে মহিলাদের হাতে। তাঁরাই রাজ্যের অর্থনীতিতে বাংলার লক্ষ্মীলাভ ঘটাচ্ছে। বাংলার ক্ষুদ্রশিল্পে (small industry) মহিলাদের এই অন্তর্ভুক্তি দেশের গড়ের তুলনায় ১২ শতাংশ বেশি।

২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শুরু হবে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। তার আগে কেন্দ্রের রিপোর্টে চমকপ্রদ তথ্য সামনে এসেছে। যে রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে বাংলার প্রায় ৩০ লক্ষ ক্ষুদ্রশিল্পের (small industry) মালিক মহিলারা। যা দেশের আর অন্য কোনও রাজ্যে নেই। দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে নারীশক্তির (women power) ক্ষমতায়নে ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি দেখিয়েছেন, এই তথ্যই তার প্রমাণ।

প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister) তাঁর বক্তৃতায় যতই মহিলা স্বনির্ভর বা নারী ক্ষমতায়নের কথা বলুন না কেন, তা যে ফোঁপরা ঢেঁকি তা বারবার প্রমাণিত হয়ে যাচ্ছে। কেননা মোদিরাজ্য থেকে শুরু করে যোগীরাজ্য বা বিজেপির অন্যান্য পোস্টার-বয়দের রাজ্যও এই পরিসংখ্যানে বাংলার ধারেকাছে নেই। ডাবল ইঞ্জিন (double engine) রাজ্যগুলি ব্যর্থ মহিলাদের চালিকাশক্তিতে রূপান্তরিত করতে।

বাংলার শিল্প তথা নারী ও শিশুকল্যাণমন্ত্রী শশী পাঁজা (Shashi Panja) এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ কৃতিত্ব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee)। তাঁর কথায়, মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের মহিলাদের জন্য যুগান্তকারী সব পদক্ষেপ নিয়েছেন। নানান প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করে স্বনির্ভর করে তুলেছেন বাংলার লক্ষ্মীদের। তার ফলে আর্থসামাজিক ক্ষেত্রেও এসেছে বিরাট পরিবর্তন। ক্ষুদ্রশিল্প মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহাও সম্প্রতি রাজ্যের বিভিন্ন সিনার্জিতে অংশ নিয়ে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মহিলাদের স্বনির্ভরতায় যেসব উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছেন, তা অন্য রাজ্য ভাবতেও পারেনি। তাই আমরা আজ অগ্রগণ্য।

কেন্দ্রের উদ্যম পোর্টালে রেজিস্ট্রেশন হওয়া ক্ষুদ্র শিল্পের সংস্থার সংখ্যার উপর ভিত্তি করেই কেন্দ্র এই রিপোর্ট তৈরি করেছে। সেই রিপোর্টেই দেখা যাচ্ছে, সারা দেশে ২ কোটি ২০ লক্ষ ক্ষুদ্রশিল্পের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে মহিলাদের হাতে। তাতে সবার উপরে রয়েছে বালার নাম। সম্প্রতি নবান্ন সভাঘরে ষোড়শ অর্থ কমিশনের বৈঠকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে রাজ্যের মহিলারা প্রশংসিত হন তাঁদের উদ্যোগের জন্য।

Related articles

রাত পোহালে প্রথম দফার নির্বাচন বিহারে: হিংসা ঠেকানোই চ্যালেঞ্জ

নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে পরপর খুন। রাজনৈতিক নেতা থেকে সমর্থক। বিহার বিধানসভা নির্বাচনে তাই শান্তি বজায় রাখাই চ্যালেঞ্জ...

বাংলা কথায় দক্ষতা, কোন পদে পান তৃপ্তি? দীপ্তিকে নিয়ে স্মৃতির ঝাঁপি খুললেন ‘অভিভাবক’ মিঠু

সন্দীপ সুর বাংলার প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে আইসিসি একদিনের বিশ্বকাপ জিতেছেন রিচা ঘোষ কিন্তু ভারতীয় দলের আরও এক ক্রিকেটারের সঙ্গে...

দিঘার জগন্নাথ ধামে প্রথম রাস উৎসবে ভক্তদের ঢল 

দিঘার জগন্নাথ ধামে এবারই প্রথম পালিত হল রাস উৎসব, আর সেই উপলক্ষে সকাল থেকেই উপচে পড়েছে ভক্তসমুদ্র। উৎসবের...

বেঁচে আছেন, তাই জানতে পারলেন ‘দোষী নন’: আজব বিচার উত্তরপ্রদেশে

বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে। উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের (Aligarh) মিঠু সিংয়ের জীবনে যেন সেটাই সত্যি হতে বসেছিল। অবশেষে ৫৫...
Exit mobile version