‘এক দেশ এক ভোট বিল’ পাঠানো হয়েছে যৌথ সংসদীয় কমিটি বা জেপিসিতে। এবার জেপিসিতে আলোচনা হবে বিলটি পেশের যোগ্য কি না। তৃণমূল কংগ্রেস এই বিলের বিরোধিতা করেছিল। সেই অবস্থানে থেকেই আলোচনার জন্য তারা প্রস্তুত। তাই মঙ্গলবার বিলটি জেপিসিতে যাওয়ার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই জেপিসিতে দুই সংসদ সদস্যকে মনোনীত করল। সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হল, এক দেশ এক ভোট নিয়ে জেপিসিতে তৃণমূলের পক্ষে থাকবেন লোকসভার সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখলে।

মঙ্গলবার সংসদে ‘এক দেশ এক ভোট’ বিল পেশ করা নিয়ে ভোটাভুটি হয়। বিরোধীদের তীব্র আপত্তি সত্ত্বেও সরকার পক্ষে বেশি ভোট পড়ায় তা পেশ হয়। কিন্তু এই বিল পাশ করাতে ধীরে চলো নীতি নিয়েছে মোদি সরকার। বিল পাশ না করিয়ে সংসদের যৌথ কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। এখন যৌথ কমিটি বিলটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে। সে জন্য জেপিসি তৈরি করা হবে। জেপিসিতে সর্বাধিক ৩১ জন সদস্য থাকতে পারেন। ৩১ জনের মধ্যে ২১ জন লোকসভার সদস্য। বাকি ১০ জন রাজ্যসভার। দলের কতজন সাংসদ সেই সংখ্যার ভিত্তিতে স্থির হবে কাদের কতজন সদস্য থাকবেন। ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক দলগুলিতে সদস্যের নাম প্রস্তাবের নির্দেশ দিয়েছেন লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা। রাজ্যসভার পক্ষ থেকেও নাম প্রস্তাবের নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই নির্দেশের পর কালবিলম্ব না করে তৃণমূল জানিয়ে দিল তাঁদের দুই কক্ষের দুই সদস্যের নাম।

উল্লেখ্য, সংসদে যেহেতু সংখ্যাগরিষ্ঠ দল বিজেপি, কমিটিতে তাদের সদস্য বেশি থাকবে। কমিটির সভাপতি হবেন বিজেপির সাংসদ। এই যৌথ সংসদীয় কমিটির মেয়াদ থাকবে ৯০ দিন। প্রয়োজনে তা বাড়ানো হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। জেপিসিতে ‘এক দেশ এক ভোট’ সংক্রান্ত দুটি বিলের যৌক্তিকতা নিয়ে যেমন আলোচনা হবে, তেমনই কোনও সংশোধন বা সংযোজন প্রয়োজন কি না, তা নিয়েও আলোচনা হবে জেপিসিতে। তারপর বিল দুটি পেশ হবে লোকসভায় পাশ করানোর জন্য। লোকসভায় পাশ হলে রাজ্যসভায় পেশ করা হবে। সেখানে পাশ হলে বিল দুটি যাবে রাষ্ট্রপতির কাছে। রাষ্ট্রপতির শিলমোহরের পরই তা আইনে পরিণত হবে। বিল পাশ করাতে দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন মোদি সরকারের। যা কোনও কক্ষেই সরকারের হাতে নেই। ফলে এই বিলে ধীরে চলো নীতি নিয়েছে সরকার। এই অবস্থায় বিলটি আদ্য পাশ হয়ে আইনে পরিণত হবে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েই যায়।

–

–

–

–

–

–

–

–

–
