সংবিধান প্রণেতা ভীমরাও আম্বেদকরকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে স্বাধিকারভঙ্গের নোটিশ এনেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সংসদে তৃণমূল কংগ্রেসের এই অবস্থানকে স্বাগত জানালেন বাবা সাহেবের নাতি প্রকাশ আম্বেদকর। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, আমি তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনকে ধন্যবাদ জানাই। তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে বাবাসাহেব সম্পর্কে অপমানজনক মন্তব্যের জন্য স্বাধিকারভঙ্গের নোটিশ এনেছেন। আম্বেদকর-ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেসের এই অবস্থান সাধুবাদযোগ্য।

তিনি আরও লেখেন, যাঁরা তাঁকে শ্রদ্ধা করেন এবং তাঁর কৃতিত্ব স্বীকার করেন, তাঁরা বাবাসাহেবের বিরুদ্ধে এই অবমাননাকর মন্তব্য সহ্য করবেন না।আম্বেদকর-বিরোধী মানসিকতার বিরুদ্ধে রাজপথ থেকে সংসদ পর্যন্ত লড়াই করা হবে। আমি খুশি যে ডেরেক ও’ব্রায়েন রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘৃণ্য মানসিকতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন।

সেই প্রতিবাদের রেষ ছড়িয়ে পড়েছে গোটা সংসদ চত্বরে। তৃণমূল কংগ্রেস সংসদরা বৃহস্পতিবারও আম্বেদকর মূর্তির সামনে প্রতিবাদে গর্জে ওঠেন। সরোভন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর অমিত শাহের আম্বেদকরকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্যের বিরুদ্ধে। এদিনের এই প্রতিবাদে ছিলেন সৌগত রায়, প্রতিমা মণ্ডল , নাদিমুল হক, সাজদা আহমেদ, খলিলুর রহমান প্রমুখ। বাবাসাহেব আম্বেদকরের ছবি হাতে তাঁরা প্রতিবাদ জানান। সৌগত রায় বলেন, বাবাসাহেবের অবমাননা তাঁরা মানবেন না। আমাদের এই প্রতিবাদ চলবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন। তার নির্দেশ মেনে আমরা প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই অপমানজনক মন্তব্যের বিহিত চাই।

বুধবার রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন স্বাধিকারভঙ্গের নোটিস দেন অমিত শাহের বিরুদ্ধে। তিনি সংবিধান ও সংসদীয় মর্যাদায় আঘাত এনেছেন বলে অভিযোগ তোলা হয়। ১৮৭ নম্বর রুলে ওই নোটিস আনা হয়। আম্বেদকরকে নিয়ে অমিত শাহের বিতর্কিত মন্তব্যের পর ড্যামেজ কন্ট্রোলে আসরে নামতে হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। তিনি এই ঘটনায় বিরোধীদের পাল্টা আক্রমণ করেন।

অমিত শাহ মন্তব্য করেছিলেন, বিআর আম্বেদকরের নাম নেওয়া বিরোধী দলের নেতাদের কাছে ফ্যাশন হয়ে গিয়েছে। এতবার ভগবানের নাম নিলে তাঁদের স্বর্গে ঠাঁই হত। একশোবার বেশি তাঁর নাম নেন। এই ইস্যুতে এনডিএর শরিকদের মধ্যেই ফাটল দেখা দেয়। বিজেপির অন্দরেও তৈরি হয় বিভাজন।

আরও পড়ুন- চাকরি বাতিল মামলায় বৈধ-অবৈধদের আলাদা করা সম্ভব, জানালো SSC

–

—

–

—

–

—

–
