Friday, November 7, 2025

সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে স্লিপার সেল তৈরির চেষ্টা! ভেস্তে দিলো এসটিএফ, গ্রেফতার ৮

Date:

হাসিনা সরকারের পতনের পরে বারবার সীমান্তে নজরদারি বাড়ানোর অনুরোধ কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে করা হয়েছিল রাজ্যের শাসকদলের পক্ষ থেকে। কার্যত ফের বিএসএফের (BSF) ব্যর্থতা প্রকাশ্যে এলো দেশের তিন রাজ্য থেকে বাংলাদেশের (Bangladesh) নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্যের গ্রেফতারির ঘটনায়। অসম পুলিশ (Assam Police) ও রাজ্য পুলিশের (West Bengal Police) স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের (STF) যৌথ বাহিনীর হানায় রাজ্যের মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার জঙ্গি সংগঠনের এমন দুই সদস্য যারা দেশে স্লিপার সেল (sleeper cell) তৈরির কাজ চালাচ্ছিল। সেই সঙ্গে এই পরিকল্পনায় নেতৃত্ব দেওয়া এক জঙ্গিনেতাও গ্রেফতার হয় অসম থেকে। কার্যত সীমান্তে নজরদারির স্বরাষ্ট্র দফতরের (Ministry of Home Affairs) ব্যর্থতায় শুধুমাত্র বাংলা নয়, অসমেও জঙ্গিরা আশ্রয় নিচ্ছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের।

অসম গোয়েন্দা বিভাগের সূত্র অনুসারে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) হরিহরপাড়ায় অভিযান চালায়। সেখান থেকে মিনারুল শেখ ও আব্বাস আলিকে গ্রেফতার করা হয়। এদের মূল কাজ ছিল স্লিপার সেল তৈরি করা। এরা বাংলাদেশ ও ভারতে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লা বাংলা টিমের (ABT) সঙ্গে যুক্ত বলে দাবি পুলিশের। ২০১৩ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে নাশকতামূলক কাজের জন্য ভারত-বাংলাদেশ সহ ইংল্যান্ড (UK) ও আমেরিকাতেও (USA) নিষিদ্ধ হয় এই জঙ্গি সংগঠন। বর্তমানে এই সংগঠনের এক শীর্ষ নেতা জেল থেকে ছাড়া পেয়ে অসমে (Assam) গা ঢাকা দিয়ে স্লিপার সেল (sleeper cell) তৈরির কাজ করছিল বলে জানতে পারে অসম পুলিশ।

সম্প্রতি বাংলাদেশের অরাজক পরিস্থিতিতে অসমে এসে গা ঢাকা দিয়েছিল জঙ্গি সংগঠন এবিটি-র (ABT) পাঁচ জঙ্গি। বাংলাতেও তাদেরই দুই সহকারী গা ঢাকা দিয়েছিল। এদের মূল উদ্দেশ্য ছিল অস্ত্র সংগ্রহ করা, স্থানীয় যুবকদের ব্রেন ওয়াশ করে এই জঙ্গি সংগঠনে যুক্ত করা ও চিকেন্স নেক (Chickens Neck) ব্যবহার করে ভারতের সেভেন সিস্টার্সের (Seven Sisters) উপর হামলা চালানো। মূলত ভারতে বসে, ভারতের যুব সম্প্রদায়ের শক্তিকে ভারত বিরোধী কার্যকলাপে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা ছিল এবিটি-র দাবি, রাজ্য পুলিশের এডিজি (ADG) সুপ্রতীম সরকারের। ধৃত মিনারুল সম্প্রতিই একটি মাদ্রাসা খুলে শিক্ষা দেওয়ার কাজ শুরু করেছিল। দুজনের থেকে পেন ড্রাইভ (pen drive), নথি থেকে মোবাইল সংগ্রহ করেছে পুলিশ।

তবে শুধু বাংলা নয়, এই যৌথ অভিযানে অসম থেকে গ্রেফতার হয়েছে সবথেকে বেশি। পাঁচ জন লুকিয়ে ছিল হিমন্ত বিশ্বশর্মার (Himant Biswasharma) অসমে। এক জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে কেরালা থেকে। স্বাভাবিকভাবেই এরপর কেন্দ্রের সীমান্তের নজরদারি নিয়ে তোপ রাজ্যের শাসকদলের। রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের দাবি, বিএসএফ (BSF) সীমান্ত পাহারা দিতে পারে না। ফলে বাংলাদেশ থেকে জঙ্গিদের এই দেশে আসা সুবিধাজনক হয়ে গিয়েছে। রাজ্য পুলিশের সতর্কতার জন্য জঙ্গিরা ধরা পড়ছে।

Related articles

শিলিগুড়িতে উৎসবের মেজাজেই সোনার মেয়েকে বরণ, নিজের অনুভূতির কথা জানালেন আপ্লুত রিচা

বিগত কয়েক বছর ধরেই পুরুষ এবং মহিলা ক্রিকেটের মধ্যে ব্যবধান একটু একটু কমছে। আইসিসি বিশ্বকাপ জিতে ভারতীয় ক্রিকেটেই...

পথশ্রী প্রকল্প বেনিয়ম বরদাস্ত নয়: স্পষ্ট নির্দেশ মুখ্যসচিবের

পথশ্রী প্রকল্পের অধীনে গ্রামীণ রাস্তাগুলির মান বজায় রাখতে জেলা প্রশাসনকে কড়া নির্দেশ দিলেন মুখ্য সচিব মনোজ পন্থ। শুক্রবার...

ন্যাশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুয়েরেন্স স্ট্যান্ডার্ড প্রতিযোগিতায় রাজ্যে সেরা বসিরহাট পুরসভা

ন্যাশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুয়েরেন্স স্ট্যান্ডার্ড (National Quality Assurance Standard) প্রতিযোগিতায় ১২৯টি পুরসভার মধ্যে প্রথম স্থান ছিনিয়ে নিল বসিরহাট পুরসভা...

‘হিন্দি বলয়ের লোক’! বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়ে অস্বস্তি বাড়ালেন অভিজিৎ

বাংলা বিরোধী বিজেপির বিরুদ্ধে প্রবল বাঙালি বিদ্বেষ ঠিক কীভাবে বাংলার মানুষের ক্ষতি করেছে তা বারবার তুলে ধরেছে বাংলার...
Exit mobile version