উৎসবে মেট্রো ভোগান্তি! কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালিপনায় অতিষ্ট নিত্যযাত্রী থেকে পর্যটকরা

উৎসবের মরশুম হলেও খোলা রয়েছে বেসরকারি ক্ষেত্রের অফিসগুলি। সেইসব অফিস যাত্রীরা (daily passengers) ব্যস্ত সময়ে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন

মেট্রো কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালিপনার শিকার শহরের মানুষ। উৎসবের মরশুমে ভিড়ে ঠাসা মেট্রোয় (metro railway) একদিকে দুর্ঘটনার প্রবণতা বাড়ছে। অন্যদিকে গন্তব্যে পৌঁছতে অতিরিক্ত সময় দিতে হচ্ছে উৎসবের আনন্দ নিতে বেরোনো শহরবাসীকে ও নিত্যযাত্রীদের। বেশি সমস্যায় পড়ছেন অফিস যাত্রীরা একে মেট্রো সংখ্যা কমে যাওয়ায় মেট্রোয় ভিড় বাড়ছে। সেই সঙ্গে পর্যটকদের ভিড়ে তাঁদের অফিস যাত্রা ব্যাপক সমস্যায়।

২৫ ডিসেম্বর মানেই শহরের সব মানুষ পার্ক স্ট্রিট (Park Street) মুখী। অনেকেই আবার রবীন্দ্রসদন হয়ে চিড়িয়াখানায় (Zoological Garden) ভিড় জমান। আর এই যাত্রাপথে অনেকটাই সুবিধা করে দেয় কলকাতা মেট্রো (Kolkata Metro)। কিন্তু এ বছর সবটাই যেন উল্টো। নিজেদের ফায়দার কথা ভেবে মেট্রোর সংখ্যা কমিয়ে দেওয়ায় চরম বিপাকে শহরের মানুষ। উৎসবের মরশুম হলেও খোলা রয়েছে বেসরকারি ক্ষেত্রের অফিসগুলি। সেইসব অফিস যাত্রীরা (daily passengers) ব্যস্ত সময়ে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন। এমনকি মেট্রোর কারণে কর্মক্ষেত্রে দেরিতে পৌঁছাতেও বাধ্য হচ্ছেন।

সম্প্রতি মেট্রো কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেয় এখন থেকে কোনও মেট্রো আর দমদম (Dumdum) থেকে কবি সুভাষ (Kabi Subhash) যাবে না। সব মেট্রো দক্ষিণেশ্বর (Dakshineswar) থেকেই ছাড়বে। অন্যদিকে দুটি মেট্রোর সময়ের ব্যবধান ৬ মিনিট থেকে বাড়িয়ে ৭ মিনিট করে দেওয়া হয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কমে যায় মেট্রোর সংখ্যা। পর্যটকের মরশুমে এতে অফিস যাত্রীরা নিজেদের দৈনন্দিন মেট্রো ফেল করতে থাকেন। অন্যদিকে প্রতিটি স্টেশনে ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য পর্যাপ্ত আরপিএফ-রও (RPF) দেখা মেলে না। ফলে এক একটি স্টেশন থেকে এক একটি মেট্রো ছাড়তেই দীর্ঘ সময় নিয়ে নিচ্ছে।

মেট্রো কর্তৃপক্ষ একদিকে ভাড়া বাড়িয়েছে। অন্যদিকে তেমন পরিষেবাও পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে শহরের লাইফ লাইন বলে যে কলকাতা মেট্রোকে চিহ্নিত করা হতো, তা কার্যত এখন ডেথ লাইনে পরিণত হয়েছে বলে দাবি মেট্রোর নিত্য যাত্রী থেকে পর্যটকদের।