ইজরায়েল-হুথি যুদ্ধে প্রতিদিন মানুষের হত্যালীলা চলছে। সেখানে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) প্রধান টেড্রসের জীবন আলাদাভাবে মূল্যবান নয়। ইয়েমেনের রাজধানী সানায় ইজরায়েলি আইডিএফ হানায় কোনওমতে প্রাণে বেঁচে গিয়ে সতীর্থদের জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করে এমনটাই দাবি হু ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রস আধানম গ্যাব্রিয়েসাস (Tedros Adhanom Ghebreyesus)। প্রতিদিন এই রকম বোমার মুখে যে কর্মীরা কাজ করছেন তাঁদের কথা ভেবে রীতিমত আঁৎকে উঠছেন তিনি প্রাণে বাঁচার চব্বিশ ঘণ্টা পরেও।

ইজরায়েল-হুথি সংঘাতে বন্দি বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার কর্মীদের মুক্তি নিয়ে আলোচনায় নিজেই ইয়েমেন (Yemen) যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন টেড্রস। হু-এর (World Health Organisation) যে কর্মীরা যুদ্ধক্ষেত্রে মাঠে নেমে কাজ করেন, তাঁদের নিজের সমান পদমর্যাদাতেই দেখেন বলে দাবি হু প্রধানের। হুথি জঙ্গিদের সঙ্গে সেই কর্মীদের মুক্তি নিয়ে আলোচনা ফলপ্রসূ হলেও সানা বিমান বন্দরে (Sana Airport) প্রাণঘাতী হামলার মুখে খোদ টেড্রস। সেই সময়ের ভিডিও নিজেই প্রকাশ করেন তিনি। সেই সঙ্গে এই হামলার পরেও প্রাণে বেঁচে যাওয়ায় সহকর্মী ও বিমান বন্দরের কর্মীদের ধন্যবাদ জানান তিনি।

কী হয়েছিল সেদিন সানায়? অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে টেড্রসের দাবি, কোনও স্থানই সেখানে নিরাপদ নয়। যে কোনও স্থানে যে কোনও সময়ে প্রাণ যেতে পারে, পরিস্থিতি এমন। যে মুহূর্তে বিস্ফোরণ হয়, তখন তিনি কিছু বুঝে ওঠার আগেই সহকর্মীরা তাঁকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তিনি শুধু মনে করতে পারছেন বিস্ফোরণের ভয়াবহ আওয়াজ, যা চব্বিশ ঘণ্টা পরেও তাঁর কানে বাজছে।

প্রাণে বেঁচে ফেরার পরে টেড্রসের দাবি, এই সংঘাত বন্ধ হওয়া দরকার। তাঁর বিমান সেই দিন সেখানে ছিল কিনা, বা তিনি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন কি না সেটা বড় কথা নয়। তাঁর জীবন অন্য আর একটিও জীবনের থেকে বেশি মূল্যবান নয়। কারণ আন্তর্জাতিক আইন (International Law) অনুযায়ী, বিশ্বে প্রতিটি জীবনকে রক্ষা করতে হবে। আমি সেখানে ছিলাম কিনা ইজরায়েল সেটা জানত কিনা সেটা তাই বড় কথা নয়। সাধারণ মানুষের ব্যবহারের জায়গা, যেমন বিমান বন্দরে হামলা চালিয়ে আন্তর্জাতিক আইন ভাঙা হয়েছে বলেও দাবি টেড্রসের।

–

–

–

–

–

–

–
