দৈনন্দিন বিনোদন, খেলাধুলো এমনকি চাকরি করা থেকেও শতযোজন দূরে আফগানিস্তানের (Afganistan) মহিলারা। এবার নিজেদের বাড়ির মধ্যেও জানলা বিহীন ঘরে তাদের থাকতে হবে। শুধুমাত্র প্রতিবেশীর কুদৃষ্টি থেকে বাঁচার জন্য। পাছে প্রতিবেশী জানলা দিয়ে কোন মহিলাকে দেখে ফেলে, কোন লালসা তার মধ্যে জন্ম নেয়। তাই মহিলাদেরকেই থাকতে হবে বদ্ধ বাড়িতে, যেখানে থাকবে না কোন জানালাও।

গোটা বিশ্বের কাছে হাস্যকর হাজার রকমের ফতোয়া জারি করে সমালোচনায় বিদ্ধ তালিবানরা (Taliban) আর যেন কোন সমালোচনাকে ভয় করেন না। দেশ চালাতে গোটা পৃথিবীর সমাজের সব নিয়মকে তারা তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিতে একবারও ভাবেনা। এমন একটা সমাজ আফগানিস্তানে তালিবান সরকার তৈরি করেছে যেখানে নারীর স্থান বাড়ির আসবাবের মতো। তবে তাদের যত্ন করে রাখা হবে ভোগের বস্তু হিসাবেই। মালিকানা যার ভোগেও তারই অধিকার থাকবে।

সেই নীতিকে তুলে ধরতে বন্ধ হল বাড়িতে জানলা (window) তৈরির ব্যবস্থা। নতুন ফতোয়ায় বলা হয়েছে বাড়ির জানালা দিয়ে যদি রান্নাঘর (kitchen), কুয়োতলা (well) ইত্যাদি যেসব জায়গায় মহিলারা যাতায়াত করেন, সেখানে বাইরে থেকে দৃষ্টি যায় তাহলে তা কোনও প্রতিবেশীর বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে। তিনি লালসার শিকার হতে পারেন। আফগানিস্তান জুড়ে নতুন তৈরি হওয়া বাড়িতে রাখা যাবে না কোন জানালা। আর যেসব বাড়িতে আগে থেকেই জানালা রয়েছে সেখানে জানালাগুলি পাঁচিল তুলে বা অন্য কোন উপায়ে বন্ধ করে দিতে হবে। স্থানীয় প্রশাসন প্রত্যেকটি বাড়িতে নজরদারি চালিয়ে পরীক্ষা করে দেখবে এই নিয়মের পালন সঠিকভাবে হচ্ছে কিনা।

যদিও এই ফতোয়ার পিছনে তালিবান সরকারের (Taliban government) দাবি তারা সমাজে নারী এবং পুরুষের অধিকারকে সমানভাবে রক্ষা করতে চান, বলেই এই নতুন নিয়ম। মহিলাদের প্রতি পুরুষের কুদৃষ্টি বেড়াতেই এ ধরনের পন্থা নেওয়া হয়েছে বলে দাবি প্রশাসনের।

–
–

–

–

–

–


–
