বছরের শেষ লগ্নে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার (South Korea Plane Crash) সাক্ষী থেকেছে দক্ষিণ কোরিয়া। মুয়ান বিমানবন্দরে অবতরণের সময় যখন প্লেন ক্র্যাশ (Air Crash) হয় তখন মুহূর্তে চারপাশ ধোঁয়ায় ঢেকে যায়।১৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে বেঁচে গেছেন লি আর কওন নামের দুই বিমানকর্মী (2 crew members miraculously survived)। তবে প্রাণরক্ষা হলেও আকস্মিক দুর্ঘটনায় স্মৃতি হারিয়েছেন দুজনেই। দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে কাঁটা ছেড়ার মাঝেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে লি আর কওন কীভাবে বেঁচে গেলেন? যখন আগুন লাগে তখন বিমানের ঠিক কোন জায়গায় ছিলেন তাঁরা?

যেকোনও বাণিজ্যিক উড়ানের ক্ষেত্রে বিমানের শেষ প্রান্তের সিটগুলিই যে কোনও বাণিজ্যিক উড়ানের সবচেয়ে নিরাপদ স্থান। লি আর কওন ঠিক ওই জায়গাতেই বসেছিলেন বলে প্রাথমিক অনুমান। যদি বিমান দুর্ঘটনার কিছু তথ্য ঘেঁটে দেখা যায়, তাহলে বোঝা যাবে শেষের আসনগুলিতে মৃত্যুর আশঙ্কা ৩২ শতাংশ, মাঝের আসনগুলিতে ৩৯ এবং সামনের দিকের আসনে মৃত্যুর আশঙ্কা ৩৮ শতাংশ। যদিও আমেরিকার টাইম ম্যাগাজিনের (Time Magazine, America) রিপোর্ট বলছে, বিমানের পিছনের দিকের মাঝের আসনগুলিতে মৃত্যুর আশঙ্কা সবচেয়ে কম থাকে ( প্রায় ২৮ শতাংশের কাছাকাছি)। এক্ষেত্রে হয়তো সেই মিরাকল ঘটেছে ওই দুই বিমানকর্মীর সঙ্গে। কী ঘটেছিল ওই বিমানে, কোন অলৌকিক শক্তিতে প্রাণে বেঁচে গেলেন দুই যুবক, এখন সেসব আর তাঁদের স্মৃতিতে নেই। লি এবং কওন মাথায় প্রচন্ড চোট পেয়েছেন। তাই আপাতত চিকিৎসকরা তাঁদের স্মৃতি ফেরাতে কোনরকমের জোর করতে চাইছেন না। রবিবার ভোরে দক্ষিণ কোরিয়ার জেজু এয়ারের বিমান দুর্ঘটনাকে কোরিয়ার ইতিহাসে অন্যতম ‘ভয়ংকর স্মৃতি’ আখ্যা দিয়েছেন অনেকেই।

–

–


–

–

–

–

–

–

–
