Saturday, August 23, 2025

মানবিক ও নিরপেক্ষ সরকারের দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন মুখ্যমন্ত্রী, বাংলার বাড়ি পেল ২০ বিজেপি পরিবার

Date:

পার্টি আমার, কিন্তু সরকার সকলের। আবার একবার প্রমাণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির গৃহহীন ২০ পরিবারকে বাংলার বাড়ি দিল তাঁর সরকার। বর্ধমানের আউশগ্রামে তৈরি হল মানবিকতার নজির। বাংলার বাড়ি পাওয়া বিজেপির ২০ পরিবারকে শুভেচ্ছাবার্তাও পাঠালেন মানবিক মুখ্যমন্ত্রী। স্থাপন করলেন নিরপেক্ষ সরকারের দৃষ্টান্ত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার যে পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে শাসক বা বিরোধী ভাগাভাগি করে না, তার সাক্ষী হয়ে থাকল পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রাম। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার আবাস যোজনা-সহ বাংলার একাধিক প্রকল্পের টাকা রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য আটকে রেখেছে। তা সত্ত্বেও বাংলার মানবিক মুখ্যমন্ত্রী বঞ্চিত রাখলেন না বাংলার বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের। তাঁদেরও দিলেন বাংলার বাড়ি। আউশগ্রামের ১ নম্বর ব্লকের আলিগ্রামে বিজেপি কর্মী ও সমর্থকদের মাথার উপর পাকা ছাদ ছিল না। মুখ্যমন্ত্রী বাংলার বাড়ি দিয়ে তাদের মাথার উপর পাকা ছাদের বন্দোবস্ত করেন। এই মানবিকতায় বিজেপি সমর্থিত পরিবারগুলিতে খুশির হাওয়া।

আউশগ্রামে বিজেপির ২০ পরিবার বাংলার বাড়ির জন্য তদ্বির করেছিলেন তৃণমূল নেতা ধীমান রায়। ইতিমধ্যেই পরিবারগুলির জন্য বাংলার বাড়ির প্রথম কিস্তি বরাদ্দ হয়েছে। অ্যাকাউন্টে টাকা চলেও এসেছে। আলিগ্রামের বিজেপি পরিবারগুলির হাতে পৌঁছে গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর পাঠানো শুভেচ্ছাবার্তাও। সেই শুভেচ্ছাবার্তা পৌঁছে দিয়েছেন আউশগ্রাম ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তাপস চট্টোপাধ্যায়।

আবাস যোজনার অনুদান নিয়ে বাংলা তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা নালিশ কুৎসা ও অপপ্রচার চালিয়েছিল বিজেপি। অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগও তুলছিল। তৃণমূল কংগ্রেস এক্ষেত্রে বিজেপি নেতাদের মুখে ঝামা ঘষে দিল। দেখিয়ে দিল তৃণমূল সরকার উন্নয়নের ক্ষেত্রে কোনও ভেদাভেদ করে না। পার্টি তৃণমূলের কিন্তু সরকার সকলের।

আলিগ্রামের দুটি সংসদ মিলিয়ে বাংলার বাড়ির চূড়ান্ত তালিকায় ৫৪ জন উপভোক্তা ঘর পেয়েছেন। এই বাংলার বাড়ি প্রাপকদের মধ্যে ২০টি পরিবার রয়েছে সক্রিয়ভাবে বিজেপির সঙ্গে যুক্ত। বাংলার বাড়ি প্রাপক বিজেপি কর্মীরা বলেন, আমরা মাটির বাড়িতে বাস করি। অনুদানের জন্য পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির কাছে আবেদন করেছিলাম। বাংলার বাড়ি প্রাপকের তালিকায় আমাদের নামও এসেছে। প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা আমরা পেয়েছি। মুখ্যমন্ত্রী শুভেচ্ছা বার্তাও পেয়েছি আমরা কৃতজ্ঞ। তিনি আমাদের আবেদন বিবেচনা করেছেন।বিজেপির সাংগঠনিক বর্ধমান (সদর) জেলা কমিটির সহসভাপতি মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, সরকারি অনুদান নিয়ে কোনও রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব থাকা কাম্য নয়। আউশগ্রাম এক নম্বরের পঞ্চায়েত সমিতি সভাপতিকে এজন্য সাধুবাদ জানাই। এক্ষেত্রে প্রশ্ন, মুখ্যমন্ত্রী নিরপেক্ষতা বজায় রেখে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বাংলার বাড়ি দিয়ে নিরপেক্ষতা বজায় রাখলেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কিন্তু বাংলাকে বঞ্চনা করেই চলেছেন আবাস-সহ প্রতিটি ক্ষেত্রেই। সে ক্ষেত্রে কী বলবেন বাংলার বিজেপি নেতারা?

আরও পড়ুন- পাসপোর্ট জালিয়াতিতে গ্রেফতার অবসরপ্রাপ্ত সাব-ইন্সপেক্টর

 

 

 

 

 

Related articles

সঠিক পরিকল্পনাই ডায়মন্ডহারবারের সাফল্যের চাবিকাঠি, মনে করছেন আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়

মাত্র তিন বছরের ক্লাব। কিন্তু কী অসাধারণ সাফল্য। কলকাতা লিগ, আইলিগ থ্রি থেকে আইলিগ টু জিতে এবার আইলিগের...

অসংগঠিত শ্রমিক-ক্ষেত্রে পথ দেখাচ্ছে বাংলা: সাহায্য পেলেন ৭২০ শ্রমিক

একের পর এক নতুন প্রকল্প, অসংগঠিত শ্রমিকদের দাবিদাওয়া নিয়ে লাগাতার আলোচনা, তাঁদের পরিবারের প্রতি নজর রাখার ব্যাপারে তৎপর...

প্রাপ্য চায় বাংলা, উপহার না: মোদিকে জবাব তৃণমূলের

বাংলার মানুষ উপহার চায় না, প্রাপ্য চায়। উপহার দিয়ে বাংলার মানুষকে অপমান করবেন না। বাংলায় বরাদ্দ নিয়ে শুক্রবার...

অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ব্যর্থ শাহ, শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা মোদির: কটাক্ষ তৃণমূলের

অনুপ্রবেশ ইস্যুকে বার বার জাগিয়ে তুলে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার আদতে নিজেদের ভুল নিজেরাই চোখ আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।...
Exit mobile version